প্রজন্ম প্রণতি
বিকাশ চন্দ
পাশের পুকুরে হঠাৎ ঢেউ চিকচিক চাঁদের আলো ঢল—
ত্রিপল ছাউনির ফুটিফাটা ঘরে ও আলোর চিকন,
সারা শরীরে পাশাপাশি তোমার চন্দ্রকলা মায়া—
তুমি উন্মুক্ত করেছো পৃথিবী আর জীবনের অবতল,
শৈশবের চির নগ্নতায় তোমারও চোখে জৌলুশ—
কোনও তফাৎ নেই পৃথিবীর প্রতি কোণে এ সময় ভিন্ন অণুস্বর।
অনাসৃষ্টি এ সময়ে আত্মঘর পর এলকোহলের হাত
বাইরে কালো মেঘের গায়ে উড়ে যায় বলাকার সারি,
জলের আবাসে এখন শাপলা শালুক আর পানকৌড়ি ডুব—
নিশীথ সময় অট্টালিকা কুঁড়েঘর ফুটপাত নিশ্চুপ,
গাছে গাছে তখন নীরব বুনো সংসার মাটিতে আদিম মায়া—
উচ্চারণহীন তোমার শরীরে মঞ্জরী মাতালো সে ঘ্রাণ।
জল সই চল সকাল সকাল জল ছুঁয়ে স্নানের প্রণাম—
আত্মায় আছে গত রাত চন্দ্র কলার আলো আঁধারিতে
এখন ছিন্ন ঘরে ত্রিপল ছাউনিতে জোড়া শালিকের নাচ,
ছলনা ছিলনা সব রঙ ধুয়ে মুছে সকালের লাল আলো
সূর্য এখন নম্র আলোয় ভেজা চুলে বিলি কাটে বাতাস—-
শরীরেই বেড়ে উঠবে পৃথিবীর নবীন প্রজন্ম প্রণতি।