প্রভাতের অপেক্ষা
শিখা গুহ রায়
দেবদারু গাছটা ঠিক
জানালার পাশে দাঁড়িয়ে
শুধু ভাবনার জাল বুনে চলে সাগর।
অস্থির চাঁদ ছিল দূরে,
সুবাস ছিল অনেক পুরোনো
এঘর-ওঘরে দাপাদাপি
যেনো তাঁর খুব চেনা।
হঠাৎ হিমশীতল বরফ শরীর
ঝর্ণার ঢেউগুলি বয়ে চলছে অজান্তেই
অদৃশ্য কান্নার শব্দে,
ভেঙে পড়ে আকাশের বুক।
আর ঠিক তখনি ভেসে আসে
চিটচিটে সেই পুরণো স্মৃিতির গন্ধ।
হাত বারাতেই
নিমেষেই কুয়াশার মতো উড়ে যায়,
রেখে যায় স্মৃতি চুনখসা দেয়ালে,
তখনই এসে দাঁড়ায়
ঘুটঘুটে অন্ধকার চারপাশে।
তৃষ্ণার্ত প্রাণ খোঁজে জল
হাতে হাত রাখতেই বলে ওঠে ছুঁওনা!!
ওখানে পুরণো দিনের কষ্ট
আর নিঃশ্বাসের আনাগোনা।
আবারও এগিয়ে যাই
সেই খোলা জানালার পাশে
দেখি অন্ধকার আর আমি একা
ঠিক তখনিই অস্থির ভাবনাগুলো
বৃক্ষের মতো ঘুমিয়ে পড়ে
প্রভাতের অপেক্ষায়।