আত্মজয়ী
রাস্কীন চক্রবর্ত্তী
বোনটি আমার ঘরে ফিরে না, দু’দিন হলো,
কেউ বলে, হারিয়ে গেলো,
আবার কেউ বলে পালিয়ে গেলো।।
আসলে যে কি হলো,
তা বলতে কি, কেউ এলো?
সে ভাবনায় সবার মন যেন এলোমেলো,
হঠাৎ করে খবর এলো বোনকে নাকি পাওয়া গেলো।।
পাশের গ্রামে আমাকে, ডেকে পাঠালো,
বোনকে নাকি তারা, আটকে রাখিলো।
সেখানে গিয়ে হাজির হলাম,
একনজরে বোনকে দেখে নিলাম।
তার কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম।
করলাম বোনকে আমি জিজ্ঞাসা,
এটাই কি দিয়েছি তোকে শিক্ষা?
করেছিস কি চুরি, ডাকাতি, নষ্টামি?
নাকি করেছিস কারো অপমান?
নই তো দাদা আমি এমন,
করেছি পশুদের পশুত্ব দমন।
ওরা কর্ম করেছে যেমন,
সৃষ্টিকর্তা দিয়েছে ফল, তাদের তেমন।
বুঝিয়ে বলবি কি আমায়, ওরে আদুরে বোন,
কি করে করলি তাদের দমন?
তাহলে শুনো দাদাভাই,
সেদিন রাতে রিক্সা করে বাড়ী যাই,
রাস্তায় একটা কুকুরও যে নাই,
তাড়াতাড়ি রিক্সা চালাও ভাই,
সে বলিয়া আঁখি ফিরাই,
কাদের যেনো দেখতে পাই।।
দেখতে দেখতেই কাছে এলো,
এই যে সুন্দরী কোথায় চলো?
দু’হাতে দু’জনে ধরলো,
টেনে আমায়, তারা নামালো।
মুখ চেপে ধরে, বললো আমায়,
বাজবে আজ, বিয়ের সানাই।
ফুলশয্যা হবে বিছানা সাজাবো,
মোরা সবাই মিলে তোকে খাবো।
মাটিতে আমায় শুইয়ে দিলো,
সবাই যেনো একসাথে এলো।
তখন আমি বলে উঠলাম,
আসবি যখন, একজন করে আয়,
তাতে আমার কোন আপত্তি নাই।।
কোন কিছু ভেবে না পাই,
বললো তবে একজনে করে যায়।
এই বলিয়া আসলো তাদের বড়ভাই,
এমন ভাব করে যেনো, এখনি আমায় পায়।।
পশুর মতো লাফ দিয়ে পড়লো আমার ঘাড়ে
হাতের নখ দিয়ে আমি, অন্ধ করলাম তারে।।
আরেকজন এসে বলে, কে রে তুই?
দেখি কি করিস আমায়, তোরে আমি ছুঁই।
এই বলে আসলো যখন, আমার ধারে,
বসিয়ে দিলাম ব্যাগে থাকা ছুরি,তার ঘাড়ে।
চিৎকার করতে লাগলো তখন,
ও মা’রে, ও মা’রে,
রেগে আমি বললাম তারে,
নারীরা কি না করতে পারে!!
তখনি যেনো পূজো প্যান্ডেলে বেজে উঠলো,
যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেন সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।
বাকি দু’জন, আমার উগ্ররূপ দেখে,
দৌঁড়ে পালালো সবগুলো রেখে।।
জনতা আমার হাতে,রক্তমাখা ছুরি দেখে,
খুনী বলে, আমায় আটকে রাখে।।
জাতির কাছে জানতে চাই,
দোষ কি আমার, তাদের নাই?