কবি এবং কাব্য
——————— — এন এম রফিকুল ইসলাম।
কবির কলমে বাণী ক্ষুরধার কাব্য কথার ভাঁজে,
গর্জে ওঠে হুংকার ধ্বনি দ্রোহের দামামা বাজে।
কবিতার মাঝেই বীর সেনানীর চির উন্নত শির,
গর্জে ওঠে অসুর পতনে লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয় না তীর।
ঝলসে ওঠে দৃঢ় প্রত্যয়ে খাপখোলা তলোয়ার,
অত্যাচারীর পিলে চমকায় পথ খুঁজে পালাবার।
আবার তা’তেই মৌ-বরষায় উথলে ওঠে প্রেম,
কমলাদেবী রমেশে হারায় রমেশের বুকে হেম।
অমা-পরীর রূপমাধুরী জোছনার মতোই হাসে,
রাজার তনয় পাল ওড়ায়ে প্রেম সাগরে ভাসে।
কবির কাব্যে সূর্য ওঠে পাখি ডাকে ফোটে ফুল,
শিশির হাসে ঘাসের ডগাতে নদী বহে কুলকুল।
ফসলের হাসি রাখালের বাঁশি দিগন্তে একাকার,
তপ্ত দুপুর ডাকে তরুরাজ ছায়াতলে আপনার।
নীল অম্বর মেঘ কুমারী নীল গায়ে মেখে ভাসে,
উদাস নয়নে উদাসী কবির কলমে কাব্য হাসে।
কবির কাব্যে কাঁদে অসহায় বুকফাঁটা আর্তনাদে,
কুম্ভকর্ণের নিদ ভেঙে যায় কলমের প্রতিবাদে।
সুন্দরকে কবি সুন্দরই বলে কাব্য কথার ছন্দে,
অসুন্দরকে অসুন্দর বলতে ভুগে না দ্বিধাদ্বন্ধে।
কবির কাব্য ঝলসে ওঠে মানবতার জয়গানে,
শোষণ যন্ত্র বিকল করে শোষিতেরে বুকে টানে।
সত্য ন্যায়ে আপস করে না হিংসে না ধর্ম বাণী,
তবুও কবির কাব্য নিয়েই নিন্দুকের টানাটানি।
নিজকে নিজে আড়ালে রেখে সাজায় স্বপ্ন ধরা,
আপন ধরায় যতোই থাকুক শান্তি সুখের খরা।