সখিনার স্বপ্ন
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ
০১
সখিনা তাড়াতাড়ি হাত চালায় । এখনও অনেক কাজ বাকি । পাশের বাড়ির মজা পুকুরে একবার যেতেই হবে । ওখানে কলমি শাক পাওয়া যায় । কারো চাষ করা নয় । একদম নিরেট প্রাকৃতিক । ভেজালের যুগে এই ঢের ! কলমি শাক কদম আলীর খুব পছন্দ । যেদিন কলমি রান্না হয় ; সেদিন কদম আলী এমন ভাবে খায় যে , এর চেয়ে মজার খাবার আর ত্রিভুবনে নেই । সখিনা ঘোমটার আড়ালে মুখ টিপে টিপে হাসে । আর মনে মনে বলে – বড় লোকেরা কোর্মা পোলাও ও এত মজা করে খায় না । বিয়ের আগে সখিনা ময়মনসিংহ শহরে এক স্যারের বাসায় কাজ করত । স্যারের ছোট ছেলেটি সে কি দুষ্টু ! যাকে বলে কলি কালের পোলা ।
এই কদম আলী লোকটা সখিনার স্বামী । বিয়ে হয়েছে দু বছর । তখন সখিনার বয়স আঠার । কদম আলীর আটাশ । এই দু বছরে তাদের কোন সন্তান হয়নি । অবশ্য হয়নি বললে কিছুটা ভুল হবে ; কারণ সখিনা সন্তান নেয়নি । ঝামেলা ঝামেলা লাগে । সে লুকিয়ে লুকিয়ে পরিকল্পনা আপার কাছ থেকে সুখী পিল সংগ্রহ করে নিয়মিত খায় । কদম আলী বিষয়টি বুঝতে পারে না । কদম আলীর সন্তানের প্রতি খুব আগ্রহ । কিন্তু সখিনা কোন ভুল করতে রাজি নয় । সে আধা শহুরে মেয়ে । তাছাড়া কিছুটা শিক্ষিত । গ্রামের স্কুলে চতুর্থ শ্রেণী পাশ দিয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে উঠে ছিল । বাবার অভাবের সংসার । তা না হলে রাহেলার মত সেও এখন কলেজে পড়ত !
সখিনার বিয়ের দিন তুমুল বৃষ্টি । সারা বাড়িতে কাদা । তবু বিয়ের আনন্দ থেমে থাকেনি । পাড়ার মেয়েরা দল বেঁধে গীত গেয়ে , হাসি তামাশা করে পুরো বাড়ি মাতিয়ে তুলে । মাঝ রাতে কদম আলীর সাথে সখিনার বিয়ে পরানো হয় । ১০ হাজার টাকা দেন মোহর । নাকের ফুল, কানের দুল আরও ইত্যাদি ইত্যাদি মিলে পাঁচ হাজার টাকা উসুল । মা-বাবা , ভাই, বোনকে কাঁদিয়ে সখিনা শ্বশুর বাড়ি যায় সেদিন শেষ রাতে । তখনও বৃষ্টি পুরোপুরি থামেনি ।
বাসর ঘর । এক পাশে মাটির পিদিম । সখিনা প্রায় ২৪ ঘণ্টার অভুক্ত । ঘরের এখানে সেখানে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ছে । সখিনার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই । সারা দেহ, মনে ভয় ও আনন্দের অভূতপূর্ব মিলন মেলা । লুঙ্গি পড়া কদম আলী বাসর ঘরে প্রবেশ করে । গায়ে কোন জামা নেই । সখিনা আড় নয়নে স্বামীর দিকে তাকায় । প্রায় অন্ধকারে কদম আলীর কালো শরীর আরও কালো লাগে । সখিনা জড়সড় । মাটির দিকে মুখ । মাথায় বার হাত লম্বা ঘোমটা ! কদম আলী সখিনার দু হাত ধরে । ঘোমটা সরিয়ে দেয় ।
সখিনা একটু পেছনে যায় । কদম আলী একটু এগিয়ে আসে । বলে, এই ভয় পাছ নাকি ? আমি তো তোর স্বামী । নিজের স্বামীকে আবার ভয় কিসের ? এই বলে কদম আলী আরও নিবিড় হবার চেষ্টা করে । সখিনা কথা বলে না । কদম আলী ফুঁ দিয়ে বাতি নিবিয়ে দেয় । আবার ডাকে আদুরে গলায় , এই সখিনা ! এই সখি !
এই বার সখিনা চুপ থাকতে পারে না । মুরুব্বিদের মুখে শুনেছে , আল্লার পরে নাকি স্বামীর স্থান । আধো আধো গলায় বলে , কি বলেন ?
কদম আলী হা হা হা করে হেসে উঠে । বলে, এই তো আমার সখির মুখে কথা ফুটছে । আবার বলে, এক খান কথা কইতাম সখি ?
কী ?
আমারে মোহরানার টাকাটা মাফ কইরা দে ।
সখিনা আমতা আমতা করে বলে, মাফ করতে পারি ; তবে একটা শর্ত আছে ।
কি শর্ত ? এই বলে কদম আলী সখিনার আরও কাছে আসে ।
সখিনা বাঁধা দেয় না । স্বামীকে বাঁধা দেওয়ার চেয়ে বড় পাপ আর নেই । বলে, শর্তটি হল – আমারে সারা জীবন ভাল বাসন লাগব আর —- এই টুকু বলে সখিনা থেমে যায় ।
কদম আলী ব্যাকুল চিত্তে বলে , আর কী ?
সখিনা কথা বলে না । মনে মনে ভয় পায় । পাছে স্বামী মাইন্ড করে । তাকে স্বার্থপর , লোভী ভাবে ।
কদম আলী ব্যাপারটি বুঝতে পারে । বলে, আল্লা তোরে আর আমারে জোড়া মিলাইছে । আমি কথা দিতাছি , তোরে সারা জীবন ভালা বাসবাম । আর কী সেইটা তাড়াতাড়ি কইয়া ফালা । ডরের কিছু নাই ।
এইবার সখিনার মন থেকে ভয়ের কালো মেঘ সরে যায় । স্বামীর বুকে মুখ রাখে । বলে , আমারে একটা জামদানি শাড়ী দেওন লাগব । আমার বহুদিনের স্বপ্ন । ময়মনসিংহ থাকতে স্যারের বউকে দেখতাম পড়ত । আহা কি সুন্দর শাড়ি ! স্যারের বউ আমারে সব সময় বলত , সখি, জামদানি শাড়ী পরলে তোমাকে পরীর মত লাগবে । আমি তোমার জন্য একদিন পরী সাজবার চাই । এক নিঃশ্বাসে এত গুলো কথা বলে সখিনা স্বামীর গলা জড়িয়ে ধরে ।
কদম আলী একটু হতচকিত হয় । সে জীবনে জামদানী শাড়ীর নাম শুনেনি । কত দাম , কোথায় পাওয়া যায় কিছুই জানে না । একটা গাভীর দুধ ও করগাঁও বাজারে সবজি বিক্রি করে কদম আলীদের সংসার কোন মতে খেয়ে না খেয়ে চলে যায় । ঘরে বৃদ্ধ মা বাবা । ছোট ছোট কয়েকটি ভাই বোন । বড় তিন ভাই বউদের পরামর্শে আলাদা খায় । বলা যায়, সমস্ত সংসারের জোয়াল কদম আলীর কাঁধে । তবু আজকের এই মধুরাতে কদম আলী বউয়ের মন পূর্ণিমার আলোর মত রাঙিয়ে দিতে চায় । বলে, অবশ্যই দিবাম। কি খুশী ত ?
সখিনা স্বামীর গলা আরও শক্ত করে ধরে রাখে । বলে, খুব খুশী ! খুব খুশী !
কদম আলী বলে, আমারও একটা কথা আছে ।
কী কথা ?
আমারে কিন্তু আপনে কইরা কইতে পারবি না । পর পর লাগে ।
সখিনা হাসতে হাসতে বলে, না, আমি পারুম না । আমার শরম লাগে ।
কদম আলী আরও জোরে সখিনাকে বুকে টেনে নেয় । বলে, আয় তোর শরমটা একটু ভাঙাইয়া দেই ।
০২
আজ বাদে কাল ঈদ । ঈদুল ফিতর । এইবারের ঈদ সখিনার জন্য অন্যরকম । আজ কদম বাজার থেকে ফিরলেই দুজনে মিলে ভাঙবে মাটির ব্যাংক । গত দু বছরে জমানো টাকা গুনবে । অতঃপর কদম যাবে শহরে । কিনে আনবে সখিনার স্বপ্নের জামদানি । এখনও কদম আসছে না কেন ? সখিনা যত্ন করে ভাত বাড়ে । হাতে নেয় তাল পাতার পাখা । কয়েক দিন যাবত বেজায় গরম । সখিনার শরীরে ঘামাচি । একবার ভেবেছিল কদমকে বলবে একটি ট্যালকম পাউডার কিনার জন্য । পরক্ষণেই মনকে বুঝিয়েছে – তাহলে শাড়ী কিনার টাকা যদি কম পড়ে !
এই সখি, এই সখি, তাড়াতাড়ি ভাত দে – এই বলে কদম আলী ঘরে ঢুকে । সখিনা বলে, অনেক দেরী কইরা ফেললা । শহরে যাইবা না ?
যামুরে পাগলী যামু । অনেক আগেই আইতে চাইছিলাম । কিন্তু আইজ অনেক কাস্টমার । মেলা বিক্রি অইছে ।
সখিনা খিল খিল করে হাসে । বলে, আমার শাড়ীর জন্যই কিন্ত আল্লা রহমত করতাছে।
কদম আলীও হাসে । সে হাসিতে আনন্দ যেমন আছে ; তেমনি আছে গোটা সংসারের কষ্টের মানচিত্র !
দু জনে মিলে ব্যাংক ভাঙল । খুব মজা করে টাকা গুনল । কদম আলীর মনে হল, পৃথিবীতে টাকা গুণার চেয়ে আনন্দের আর কিছুই নেই । সর্বমোট এক হাজার সাতশ একুশ টাকা । কে জানে এই টাকায় শাড়ী পাওয়া যাবে কি না ! কদম আলীর বুকটা দুরু দুরু করে । কিন্ত সখিনারে বুঝতে দেয় না । বলে, সখি আমি তাইলে শাড়ী কিনতে যাই । সখিনার চোখে মুখে বিশ্ব জয়ের আনন্দ !
আমারে নিবা না —– এই কথা বলে সখি অন্যদিকে মুখ ফিরায় । আকাশের এক কোণে ঘন কালো মেঘ । অনেক গুলো চিল উড়ছে । ঝড়ের আগমনী বার্তা । সখিনার বিয়ের দিনের কথা মনে পড়ে ।
কদম আলী মুচকি হেসে বলে, তর যাওনের কাম নাই । আব্বা রাগ করব । মেয়ে মানুষ শহরের বাজারে পুরুষ মানুষের সাথে চলব এইডা আমারও ভালা লাগে না ।
সখিনা আর কথা বাড়ায় না । শুধু বলে, সুন্দর দেইখা কিনবা কিন্তু ।
কদম আলী সখিনার কপালে আলতো করে একটি চুমো খায় । সখিনা দেখে কদমের চোখে জল । বুঝতে পারে এই কান্না কষ্টের নয় ; ভালবাসার । গর্বে সখিনার বুক ভরে যায় । আর কদম আলী জোড় কদমে শহরের দিকে পা বাড়ায় ।
০৩
কদম আলী পিকাপে উঠে । বসার সিট নাই । দাঁড়িয়েও থাকা যায় না । পিকাপের ছাদে মাথা লেগে যায় । গন্তব্য কিশোরগঞ্জ শহর । গৌরাঙ্গ বাজার । ড্রাইভার যথেষ্ট জোরে চালাচ্ছে । কিন্তু কদম আলীর তর সইছে না । ক্ষণে ক্ষণে ভেসে উঠছে সখিনার মায়াবী মুখ । সেই মুখ যেন কদম আলীরে জাদু করেছে । রাস্তার দু পাশে গাছের সারি । বর্ষার পানি কিছুটা নামতে শুরু করেছে । আকাশের সেই কালো মেঘ এখন আর নেই । কদম আলীর মনে প্রশান্তির ঢেউ । ইতিমধ্যে গাড়ী কিশোরগঞ্জ রেল স্টেশনের পেছনে এসে থামল । কদম আলী সবার আগে নেমে পড়ল ।
এই দোস, এই দোস ডাক শুনে কদম আলী পেছনে ফিরে থাকায় । একজন লোক । জীর্ণ শীর্ণ, রোগা, পাতলা । শরীরের তুলনায় পেট অনেক বড় । হলুদ, কোটরাগত চোখ । মাথার বেশির ভাগই টাক । লাঠি ভর দিয়েও ভাল ভাবে হাঁটতে পারছে না । মনে হয় প্রতিবন্ধী । কদম আলী লোকটার দিকে এগিয়ে যায় । জিজ্ঞেস করে, আমারে কিছু কইছেন ?
লোকটি যেন আকাশ থেকে পড়ে । বলে, আমারে চিনতে পারলা না দোস ! আমি মরম আলী । ছোট কালে তুমার বাপে আর আমার বাপে আমরারে দোস্তি পাতাইছিল । অবশ্যি না চিনার অই কথা । সেই আমি আর এই আমি এক না । আকাশ পাতাল ফারাক ।
কদম আলীর মাথা ঝিম ঝিম করে । পায়ের তলায় মাটি আছে কি না বুঝতে পারে না ।
হা ডু ডু খেলায় মরম আলী ছিল অপ্রতিদ্বন্দ্বী । গায়ে সিংহের মত শক্তি । কেউ তাকে আটকাতে পারত না । একি হাল হয়েছে তার ! কদম আলীর বিশ্বাস করতে মন চাইছে না ।
কদম আলী, মরম আলীকে জড়িয়ে ধরে । দু জনেরই চোখের জল বাঁধ মানে না । দু বন্ধু মিলে রেল স্টেশনের উত্তর পাশের বড় বট গাছটার নিচে বসে । কদম আলী জিজ্ঞেস করে, দোস এই অবস্থা কেমনে অইল ? আমারে একবার খবর দিলা না কেন ?
মরম আলী কথা বলে না । চোখের পানি সব প্রশ্নের জবাব দেয় । অবশেষে চোখের জল বুঝি ফুরিয়ে আসে ! মরম আলীর মনের ঝড় কিছুটা থামে । বট গাছে বসা একটি পাখি কদম আলীর হাতে হাগু করে দেয় । মরম আলী পাখিটাকে বিশ্রি একটা গালি দেয় ।
কদম আলী আবার জিজ্ঞেস করে, দোস এই শরীল নিয়া শহরে আইছ ক্যান ?
মরম আলী ভাব লেশহীন ; অথচ দৃঢ় কণ্ঠে জবাব দেয়, – তিনডা কাম ঠিক করছি দোস ।
কোন তিনডা ?
ভিক্ষা করবাম ।
চুরি করবাম ।
এই দুইডাতে কাম না অইলে রেল গাড়ীর নিচে ঝাঁপ দিবাম ।
কদম আলীর মাথা ঘুরে যায় । বলে, দোস, একটা কামও ভালা না ।
এ ছাড়া আমার যে আর কিছু করার নাই । আল্লা আমারে মরণ দেয় না ক্যান ?
এই কথা কইতে নাই দোস । আল্লা নারাজ অইব । আসল ঘটনাডা একটু খোলাসা কইরা কও ।
মরম আলী একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ে । আর তার অন্তরের কষ্ট গুলো বাতাস ভেদ করে কদম আলীর হৃদয়ে এসে ক্ষেপা সাগরের ঢেউয়ের মত আঁচড়ে পড়ে । অতঃপর মরম আলী বলা শুরু করে — দোস,
অনেক সুন্দর মেয়ে দেইখ্যা বাপ মা বিয়া দিছিল । দুই বছরে দুইডা পোলা অইল । সারাদিন কাম করি । সন্ধ্যার সময় অইলে ঘরে আই । বউয়ের সাথে, পোলা পানের সাথে সোহাগ করি । ভালা সুখেই দিন যাইতাছিল । এরপর আমি কডিন অসুখে পড়লাম । ডাকতর বলল, ঠিক মত অসুধ খাইতে না পারলে বাঁচার আশা নাই । বউ – পোলা পানরে খাওন দিতে পারি না । কাপড় দিতে পারি না । শেষতক ভিটে মাটি বেইচা দিলাম । অহন থাহনের কোন জায়গা নাই । বউরে মিয়া বাড়িতে কামে পাডাইলাম । হে অইখানে আর যাবার চায় না । মিয়া সাব নাকি শরীর ধরতে চায় । ওর দিকে তাকানো যায় না । একটা ছিঁড়া কাপড় । বদলাইয়া গোসল দিবার পারে না । দিন রাইত আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে । শুধু চইল্যা যাইতে চায় । ফাঁস দিয়া মরবার কথা কয় । এই ঈদে —— ।
কদম আলী আর শুনতে পারে না । চোখের পানি গাল বেয়ে পড়ে । সখিনার কথা ভুলে যায় । ভুলে যায় সখিনার স্বপ্নের কথা । আস্তে আস্তে হাত ঢুকিয়ে দেয় পকেটে । বের করে আনে এক হাজার সাতশ একুশ টাকা । গুঁজে দেয় বাল্যকালের দোস মরম আলীর হাতে । মরম নিতে চায় না । কদম আলীর দু হাত ধরে কাঁদতে থাকে ।
৪
সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে । কিছুক্ষণ পরই গ্রাস করবে অন্ধকার । কদম আলীর মনে আলো আর আঁধারের সমান খেলা । এক চোখে বিজয়ের হাসি । বন্ধুর জন্য কিছু করতে পারার আনন্দ । অন্য চোখে জল । কোনটির দাম বেশি কদম আলী বুঝতে পারে না । তার শুধু মনে হয়, মানুষের জীবনে কেন এমন হয় ? বিধাতা তো ইচ্ছে করলেই সবাইকে সুখী করতে পারে ।
কদম আলী বাড়ির কাছে এসে পড়েছে । বাড়ির সামনের আম গাছটার নিচে সখিনা দাঁড়িয়ে আছে । কিন্তু সখিনাকে দেখে আজ তার পা কাঁপছে কেন ? পা আর সামনে চলতে চাইছে না কেন ? কদম আলীর অজান্তেই হাত দুটো তার পেছনে চলে যায় । সখিনা হয়ত এই হাতের দিকেই তাকিয়ে আছে ।
*
———————-
লেখক পরিচিতিঃ সহযোগী অধ্যাপক, আনন্দ মোহন সরকারী কলেজ, ময়মনসিংহ। মোবাইলঃ 01712536755