প্রাণের নজরুল গানের বুলবুল
নাসরীণ জাহান রীণা
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রাম,
সুদর্শন বালক জন্ম নিলো নজরুল’ তার নাম।
জন্ম নিয়েই দুঃখকষ্টের জীবন শুরু হলো,
কিশোর নজরুল’কে তাই ‘দুখু’ নাম দিলো।
“রমজানেরই রোজার শেষে এলো খুশীর ইদ “,
অসংখ্য গানের স্রষ্টা, সুরকার, সঙ্গীতবিদ।
এপার বাংলা ওপার বাংলার প্রাণের নজরুল,
ইতিহাস-রাজনীতি, সাহিত্য-সংস্কৃতি, গানের বুলবুল।
মক্তব, মাযার,রুটির দোকান আর লেটোদলে,
বৈচিত্র্যময় জীবন তাঁর নানাপেশায় চলে।
সেনাবাহিনী, সাংবাদিক, গল্পকার, নাট্যকার,
সঙ্গীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, অভিনেতা, চলচ্চিত্রকার।
রাগ-রাগিনী,সুরের স্রষ্টা, ডি.লিট.প্রাবন্ধিক,
সাম্যের আর বিদ্রোহী কবি অসাম্প্রদায়িক, দার্শনিক।
প্রেমে পূর্ণ, বেদনায় নীল,প্রতিবাদে উর্মিমাতাল,
সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে উড়াতো পাল।
ধর্মীয়,লিঙ্গভেদ, শাসন-শোষণ ও মুক্তিযুদ্ধে,
প্রেরণা দিয়েছে তাঁর রচনা,লিখেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
সুরের ঝংকার যেমন কণ্ঠে প্রতিবাদও ঝাঁঝালো,
ইসলামী জীবনযাপন অন্তরে জ্ঞানের আলো।
নজরুল সঙ্গীত, ইসলামী সঙ্গীত,গজল,হামদ্-নাত,
কীর্তন, পালা,শ্যামাসংগীত,কুরআন অনুবাদ।
এমন রত্নের পারিনি যত্ন, হয়েছিলো কারাবাস,
অসুস্থতায় নির্বাকই গেলো,নির্মম পরিহাস।
বাংলায় আনে বঙ্গবন্ধু, দেয় ‘জাতীয় কবি’ উপাধি,
৭৫’এ বঙ্গবন্ধু, ৭৬’এর আগষ্টে নজরুলের সমাধি।
বিবিধ ভাষা,বিচিত্র জীবন,নানাবিধ অভিজ্ঞতা,
নজরুল’কে দিলো কাল-মহাকালে গৌরব আর অমরতা।