“নষ্ট মানুষ “
মাহবুবা আখতার
পাগলী হাওয়ায় দোলে,নড়েচড়ে দোলে
পাগলীর নরম চোখে জ্যোৎস্না হাসে,
রেশমী চুলে সন্ধ্যার আকাশ ঠোঁট জুড়ে মোহন প্রপাত, শরীর ছুঁয়ে ভালোবাসার শোভন জলোচ্ছ্বাস।
পাগলী শব্দের শরীর চেনেনা, জানেনা কবিতার কারুকাজ, জানেনা-বুঝেনা সমাজনীতি রাজনীতি রাষ্ট্রনীতির চাল
পাগলীর আঁচল ওড়ে,পাগলী হাওয়ায় দোলে,নড়েচড়ে দোলে
আপনলোকে নির্বোধ শূন্যতায়।
পাগলী ষোড়শী যৌবনবতী শরীরে- গা-গতরে পাগলী নীড়ভ্রষ্ট
পথহারা বেসামাল
পাগলীর শরীর বাড়ে-বুক পুষ্ট হয় হেসে ওঠে খিলখিল,
পাগলীর বোধহীন শরীরের উপত্যকা জুড়ে রোদেলা বৃষ্টি ঝরে
পাগলীর মেহেদী মাখা হয়না, সুবাস জানেনা কোনো ফুলের।
চেনেনা কোন রঙ, ভালোবাসার মানুষ
‘যিশু’ ক্রুসবিদ্ধ হন ষড়যন্ত্রে সময়ের নির্মম বলাৎকারে দমভাঙার ঘড়ঘড়,ঘড়ঘড় রক্তের কলরোল
ফুলেরা সহিংস বিপ্লবের ডাক দেয়,নিঃশব্দে গোলাপ রক্তাক্ত লাশ।
গভীর রাত, সুগন্ধী রুমাল, মচ্ মচ্ শব্দে হেঁটে যায় রাতের মানুষ।
পাগলী দোলেনা, হাসে না খিলখিল, নড়েচড়ে দোলেনা উদাস দৃষ্টি ফেলে দেখে ঈশ্বর- মানুষ,
পাগলীর জরায়ু ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে এক পরম আশ্চর্য মানুষ
চোখে-মুখে স্বর্গীয় দ্যুতি, স্মিত হাসি হাতে তাণ্ডব ত্রিশূল,
বিনাশী মন্ত্রে শুদ্ধ করবেন
নষ্ট সৃষ্টি-নষ্ট মানুষ
লেখক স্বত্ব