তুমি মেঘ হয়ে যাও
এম সাফায়েত হোসেন
সেই কদম কেতকী কেয়া,সেই মেঘ বিজলী দেয়া
বাতাসের ডানায় মেঘবালিকার বাঁধাহীন উড়ে চলা
হারিয়ে গেছে কবে স্মৃতির অতল তলে
শুধুই ভারাক্রান্ত করে যাচ্ছে ফি বছর
আকাশের মতো অজস্র ভাবনার মেঘমালা।
বাদল আর বিজলী হাতে হাত রেখে
ওষ্ঠে ওষ্ঠ রেখে আসেনি, তাতে কি?
বরষা এসেছে ভরসা নিয়ে নিয়মের আহ্বানে
সাথে নিয়ে এসেছে ফুল-ফল সবুজঘাস ফসলের মিছিল
কিলবিল টেংরা পুঁটি কৈ,হংসমিথুন বিল, আরো কতকি!
কেতকী কেয়া কদম ফুটেছে ডালে
বাড়িয়েছে শোভা খোঁপায় গোজা রমনীর কালো চুলে।
তুমি না হয় ভুলে, হলেও একবার হয়ে যাও
চাতকিনীর জমিনে এক চিলতে আষাঢ়ের মেঘ
ঝুম বৃষ্টি উর্বশীর নুপুর নিক্কণ, ময়ূরীর আবেগ।
আমি না হয় গভীর অনুরাগের সুতোয় বেঁধে রাখবো
তোমার ওমন কালীদাসি মেঘদূত আকাশ,
এক পশলা বৃষ্টিতে ভিজিয়ে রাখবো, তোমার প্রতিশ্রুতি
আমার তৃষ্ণার্ত চৈতালি দুপুর,বিবাগী বাতাস।
আমি বাতাসের বুকে কান পেতে শুনবো
বৃষ্টি মেয়ের দৃষ্টি ভাঙ্গা মিষ্টি নাচন…
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে প্রেম দেব মেপে,ক্ষণার বচন।
হয়তো পৃথিবী সুস্থ্য হলে আবার আষাঢ়ের মেঘ বালা
বৃষ্টির গানে আসর জমাবে খোলা টিনের চালে,
শেষ হবে এই দুঃসহ সময় কোন এক সোনালী সকালে।