“পরকীয়ার পরিণতি”
রহিমা আক্তার রীমা
হত্যা-হত্যা-হত্যা আর কত শুনবো রে ভাই
হত্যা ছাড়া কি পরকীয়ায় আর কোন সমাধান নাই?
ডিভোর্সের বিধান আছে যেহেতু যাক না সংসার ছেড়ে
কেন তবে নিতেই হবে জীবন সঙ্গীর জীবনটা কেড়ে?
স্বামীর চেয়ে দেবর ভালো বউ এর চেয়ে ভালো শালী
ঘরের মানুষ দুর্বল ভাবে অন্যকে ভাবে শক্তিশালী।
এতো নয় প্রেমের রেশ শুধুই ক্ষণিক আবেগের মোহ
অন্যের কাছে সুখ আছে ভেবে তাই ঘরে বাড়ে দ্রোহ।
দিনে-দিনে তিক্ততা বেড়ে সংসারে নেমে আসে ক্লান্তি
সুখের বদলে পরিণতি আসে শুধুই মানসিক অশান্তি।
হিতাহিত জ্ঞান ভুলে যায় সব অন্ধ হয় পরকীয়া প্রেমে
দুনিয়ার সুখ বিলীন হয়ে আসে ঘোর অমানিশা নেমে।
বিলুপ্ত হওয়া বিবেক তখন শুধুই খুঁজে এক সমাধান
দাম্পত্য জীবন নষ্ট করে দিবে পরকীয়া প্রেমের প্রমাণ।
কুবুদ্ধি আসে জীবন সঙ্গীকে কেমনে করবে খুন?
ভাবে পরকীয়ায় মিলবে ভালোবাসা কয়েকশত গুণ!
খুনের পর কি হবে সেই হিসেব নেই তো জানা
খুনের আসামি হয়ে শেষ ঠিকানা হয় জেলখানা।
বিবেক যখন জাগ্রত হয় তখন নেইতো কোন উপায়
মৃত্যুর দিন গোনা শুধুই একাকিত্বে হয়ে নিরুপায়।
অন্যায় করে পায় না সুখ হয় না কোন গতি
মৃত্যুর বদলে মৃত্যুই হয় পরকীয়ার পরিণতি।