
“গন্তব্যরে দিকে” “আসক্তি সন্ধ্যা ” “ অব্যাক্ত কান্না ” ও “চক্র ”
–হাসান আহমেদ চিশতী
১। গন্তব্যরে দিকে
সবাই প্রতিক্ষায় আছে
অথচ কেউ প্রতিক্ষায় নেই
যে যার গন্তব্যরে দিকে চলেছে
বেলা-অবেলায় নারী ও পুরুষ
মুখোমুখি হলে শৃংখল ভাংগে
মৌ-মধু ও চাকে ঝঞ্চা হলে
কিংবা আগুনের আঁচ যদি লাগে-।
তবু প্রতিক্ষায় আছে কি নেই?
এরকম ভাবনায় বসে নেই কেউ
স্থাপত্য পাদদেশ অপরাজেয় বাংলায়।।
২।আসক্তি
তুমি কি কখনো প্রেমহীন আকাশ দেখেছো
দেখেছো শুকনো গাছের বাকল-।
রাতের অন্ধকারে তারাদের সাথে
খেলা করা নিশাচর পাখির দল-
হয়তো দেখনি প্রেমিকের বুকের গভীরে
থাকে কতটা লোনাজল।
নতঃশির পাহাড়ের দুঃখ যে বোঝে না
ভালবাসা খুন করে কারণ সে খোঁজে না
যে আসক্তির আড়ালে থাকে পুঞ্জিভূত মেঘ
একদা তুমুল বর্ষণে ভেসে যায় আপন আবাস
প্রিয় প্রেম তাই কখনো কখনো কাউকে
করে দেয় লাশ–।।
.৩।অব্যাক্ত কান্না
একদিন সবাই চলে যায় গন্তব্যে
পড়ে থাকে মায়া-
জীবনের গতি যেমন সরে দাঁড়ায়
পড়ে থাকে স্মৃতি-।
যুবতীর চোখের কাজল ধুয়ে যায়
অজানা অব্যাক্ত কান্নায়
অযাচিত দুর্বিনীত রাজনৈতিক সংকটে
আমাদের হৃদয় তাপিত নগর
জলোচ্ছাস তীব্রতায় ভাসমান ছায়া।
প্রপঞ্চ অন্ধকারের কে মেটাবে দায়
নীতির জরায়ুতে কাঁটাতারের বেড়া
বস্তাবন্ধি হয়ে যায় বেদনার ভারে
প্রাসাদ পাহারায় আছে যারা-।
শতাব্দির সোনার শেকল বাঁধা
তাদের মখমলে মসৃন পায়–।।
৪।চক্র
জীবন চক্রে মানুষ কতটা
স্বপ্ন বিলাসী হতে পারে?
আকাঙ্খার বীজ বুকে ধরে
রাত্রের অন্ধকারে নূয়ে পড়ে
বিরান বিছানার সমতলে-।।
হাসান আহমেদ চিশতীর লেখা প্রবন্ধ, কবিতা, উপন্যাস ও ছোট গল্প সবই অসাধারন। কলমের বলিষ্ঠতা দেখে আমি মুগ্ধ।