ভারতের কবি-নিমাই জানার সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী দীর্ঘ কবিতা“ফিজিওলজির থার্ড ফর্ম”

696
নিমাই জানার সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী দীর্ঘ কবিতা “ফিজিওলজির থার্ড ফর্ম ”

ফিজিওলজির থার্ড ফর্ম
নিমাই জানা

নারী শরীরের মতো চাঁদ ও ১৫ দিনের ঋতুমতী কঙ্কালেরা সবাই জেনে গেছে এ সহস্র পথের কোলাহল ,ক্যানসার এক ন্যুড মডেলের মতো

আত্মার পাঁজরে পুরানো সাইক্রিয়াটিক অসুখ এইমাত্র নেমে যাচ্ছে কোন বিদেহী আত্মার হি হি হাতে ঝলসানো হাড়ের আদিম অস্ত্রাদি ,

জলঙ্গীর পাশে থেকে যে মৎস্যগন্ধা কবি ক্রমশ কলমের অসুখ লেখে ,তার হঠাৎ শ্বাসকষ্ট ছিল দোতলার ঘরে রথচক্রের সমাস, নিব কলমটি পারফেক্ট কন্টিনিউয়াস টেন্স

শুধু ঈশ্বরকে লিখতে গিয়ে পলিটেকনিক পাস করেনি , শুধু জাগতিক মায়ার ট্রায়াঙ্গেল ত্যাগ করেছে জ্যামিতিক বিন্দু দিয়ে
রাতে গরম দুধ আর হলুদ গুলে খায় ,ইমিউনিটি একটি থিটা কোণ
ঠোঁটের স্তম্ভ মূল হঠাৎ ব্রাহ্মণ হয়ে গেল

তার শরীরের লোম ওঠা গাঁদা ফুল দিয়ে কে যেন গভীর রাতে ডেকে তুলছে আমায়
তাদের পা দুটো অদৃশ্য ছিল জানালার পাশে অদ্ভুত চন্দন কাঠের পিঁড়ি হয়ে শুয়ে আছে কালো রঙের সাপ তার পাশে দুটো চিকচিকে লজ্জাবতী পাতা
তারা সবাই সালমোনেলা টাইফসি খাচ্ছে

ঘাসেদের খোলস ছেড়ে ভেতরের গর্ভাদি বালক যন্ত্রণার পরিপূরক তাপ খোঁজে , ধাতব বিষ
হাতের আঙুল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে শিশু জন্ম দেয় , ফরসেপের গাইনোকোলজিস্ট
ঠোঁট থেকে ধোঁয়া বের করে চিতা আগুনের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য মাপেন ০.২৫ বাইফোকালে
মেসেঞ্জারের অ্যাক্টিভ লাইনের কাটা মুখগুলো দাঁড়িয়ে থাকে রাবনের সবুজ আলো নিয়ে
পুরোহিতের তামার কমুণ্ডুলিতে দুটো কাঞ্চন ফুলের আয়তাকার নরম সীতাকুন্ড ছিল
তাদেরকে আমি গভীর রাতের সজনে পাতা বলেই ভাবি ,অথচ উড়ে যাওয়ার ডানা ছিল
প্রাগৈতিহাসিক যুগের আঁতুড়ঘর শুধু প্রস্তরময়

শুধু মাত্র হাঁটুর জ্যোৎস্নাকে অবাধ্য সেমিকোলন আর বজ্রপাতের কালো বিন্দু ভেবে কতজনের নোটিফিকেশন ডিলিট করেছি , ফ্রী ফায়ার প্রেম

মৃত্যুর মতো হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখেছি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট কতটুকু কঠিন অথবা পিচ্ছিল
রাত্রিবেলার ঈশ্বরীরা কেন ছেঁড়া কাপড় পরে কালো নৌকার দিকে নেমে যায়
ছেঁড়া অন্তর্বাস পরে দাঁড়িয়ে আছে পা

পিঠে রাখা ভূমধ্যসাগরের অহেতুক যৌনচিন্তা আমার পাশে যারা বালি দানা চোখে নিয়ে অসুস্থ হয়েছিল তাদের মাইগ্রেন আর জিভের অসুখ সরবিট্রেট কখন থার্মোমিটার হয়ে গেছে, অথচ আমি সাপের শরীরে থাকা অসংখ্য রম্বসের ক্ষেত্রফলের ভেতর দুটো চৌকাঠের বৃত্ত আঁকলাম

স্তনবৃন্ত মুখে নিয়েই আমার সাদা পালকেরা লোম গজিয়েছে
তাদেরকে একটি জরায়ু ছায়ায় রেখে দিয়ে গান ধরলাম মাধবের জন্য
বীর্য রেনু রাখলাম ধাতব কৌটোর ভেতর

কৌতুক ভরে সব পোকারা কিলবিল করছে আকাশমনি হলুদ ফুলের মতো , প্রকাণ্ড যোদ্ধা ঘোড়া আর সন্ন্যাস ক্রমশ আমার পায়ের পাতার উপর দাঁড়িয়ে আমাকে বিদ্ধ করছে
আমার শরীর অনেক আগে থেকেই মৃত ছিল

নারীটির চোখ থেকে দুটো ধমনী ছিঁড়ে বের করে আনছে কোন যোদ্ধা
পরনের ছেঁড়া বস্ত্র থেকে উদ্ভূত জোনাকিরা দাঁড় করালো একটা নিয়ন বিছানার আলোর নিচে এতো লাল কেন , ওই সাদা নিরাময় ক্ষেত , উড়ছে পাতাবাহার ফুল সব বাক্সের ভেতর কালো কালো মানুষেরা দাঁড়িয়ে আছে
একটাই শাড়ি একটাই অন্তর্বাস তলপেটের উপত্যকায় চোখের উপর দুটো চোখ নৌকা হয়েছে
সবাই অস্ত্র হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ধর্মক্ষেত্রে হাফ পাতলুন ,ডটকলম আর কিছু স্লিভলেস ম্যালিগনেন্সির গণিত করা দরকার আছে বাটিক ব্রাউজারের উপর

প্রতিটি টয়লেটে ব্ল্যাক স্পট আর আঙ্গুল কিছু নিষিদ্ধ ইঙ্গিত রেখে গেছে
ট্রান্সজেন্ডার ফুসফুসের ভেতর থেকে নীল রঙের নৈঃশব্দ্য বের করল , ফিজিওলজির থার্ড ফর্মটি বেশ চকচকে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here