নিসর্গের অর্ঘ্য
রীতা ধর
কখনো এমনটা বলিনি
সবচেয়ে আমাকেই বেশি ভালোবেসো,
শুধু নিশীথের অন্ধকার যখন ছায়া ফেলে বুকের কার্ণিশে,
ঝুল বারান্দায় ঝিমিয়ে পড়া জোছনা মাধুরি যখন হঠাৎ উদ্বেলিত হয় ঝড়ো হাওয়ার মতো
বুকের বাঁ পাশটায় ছুঁয়ে দেখো, একটি মর্মর পদ্মের নিসৃত অশ্রু
পাঁজরে এঁকে দিচ্ছে শীতল চুম্বন, তুমি স্বপ্নে বাড়িয়ে দিও
তোমার ওষ্ঠ যুগল।
যখন বসন্ত আসে ডালে ডালে
তখনও আমি এমনটা বলিনি
সবচেয়ে আমাকেই বেশি ভালোবেসো,
শুধু তোমার সজল আকাশ যখন জ্বলন্ত ভিসুভিয়াসের মতো
দহিত হয়, মনের উদ্যানে
শ্রীহীন কষ্ট গুলো একান্তে অর্ঘ্য নিবেদন করে অসহনীয় যন্ত্রণার,
আমার দুটি হাত অনুপম নির্ভরতায় কাছে নিও টেনে,
ময়ূরপঙ্খী এই দৃষ্টির অতলে দেখো তোমার সুনীল মুখচ্ছবি।
নদীর স্রোতের মতো সহজ স্বভাবে
পথে পথেই রেখে এসো ব্যথিত পদচিহ্ন।
সুন্দরের অনন্ত পিরামিডে
তুমি আমি মিলে, আমাদের ভালোবাসার অর্ঘ্যে এঁকে দেবো নিসর্গের জয়,,,