“মনের চোখে তোমার ছবি নাকি বেহিসেবের জীবন’’
রেবা হাবিব
বলে কয়ে কি হিসেবের জীবন হয়?
হিসেবের জীবন হয় পিঁপড়ার!! বর্ষার সঞ্চয়!
চারিদিকে দেখি চলছে শুধু গণিতের গোলমাল!!
নিরাশার ধুলো এসে আবছা করে দেয় চোখ।
দিনগুলো আটকে পড়েছে কুয়াশার ইন্দ্রজালে।
রাত যেন জাপটে ধরেছে পিঙ্গল অন্ধকারে!
টেবিলে পড়ে আছে কিছু রঙিন চিঠির খাম!
কি লিখবো নিস্তব্ধ কোলাহলহীন রাতে, এই শহরে।
কবিতার খাতা অনাহারী হয়ে টেবিলে ঝিমোতে থাকে।
বাতাস কতটুকু বোঝে তাকে।
সেত ফেরেনি কথামালার ঘরে!
ফেলে গেছে একটি রাত, কম্বল, আধাপোড়া
সিগারেট, কাপের তলানিতে কিছু চা!
বিভীষিকাময় রাত নুয়ে পড়েছে ব্যাথার ভারে।
সুচারু পরিচ্ছদ, আদতে সে অদৃশ্য!!
গোলাপের সুবাসিত ক্ষুধার আগ্রাসী রং
আর এক পশলা বৃষ্টি রেখে দিলাম আঁচলে!
তোমার প্রশ্রয়ে ঝরে পড়ুক।
বাগানের ফুল ফোটে, ঘ্রাণ ছড়ায়,মেঘের ভেলায়
আকাশে বাতাসে মিশে যায়।
তুমি কি জানো না প্রিয়?
আমিত এখন একাই পথ চলতে জানি!
ফুলের মতো ঘ্রাণ ছড়াতে জানি।
শ্রাবণ মেঘেও সবুজ থাকি।
নীলবেদনায় ভাসতে জানি, জ্বলতে জানি।
পুড়তে জানি, স্বপ্ন আশায় ভালোবাসায়!!