ফুলের গন্ধ আসেনা
———–রমেন মজুমদার।
ওরা আসেনা,
কিন্তু আসতে পারে অবারিত খোলা দুয়ারে; খিরকির কবাট আলতো করে ভেজানো থাকে
সন্ধ্যা থেকে ভোর অবধি!
চারিদিকে এত বাগান যে, ফুলে ফুলে সমারোহ থাকে আমার দুয়ার পর্যন্ত;ছোট মাঝারি বড় সব ধরণের গোলাপের বাগ!
একসময় নিখাদ রাত্রির কোণ পেরিয়ে বাহিরে ধৈর্যচ্যুৎ বেগানা শব্দ ঠুন করে ওঠে,যেন কাঁচের চুরি
ভেঙে গড়িয়ে যায় আমার দুয়ার অবধি….
শব্দের পরিবর্তে ছুটে আসেনা মুগ্ধময় গন্ধ!
বাতাসের কি দোষ !— সে বইছে উল্টোদিকে।
যখন হটাৎ ঘুম ভেঙে যায় তখন দেখতে পাই একচিলতে জোছনা ভেজানো দরজা ডিঙিয়ে
অপেক্ষা করছে শয্যায় !
যেন ভরাট পূর্ণিমার যৌবন নিয়ে উঁকি মারছে
শিউলির গন্ধ ছড়িয়ে–—
তখন আলতো ছোয়া ছুঁইয়ে যায় আমার পাতা বিছানায় ।
পৌষের মাঝ পূর্ণিমায় ভরাট শীতে স্নান সেরে নেয়
কোনো যোগ-যোগিনী
আবেগ বসে ধ্যান সেরে টাঙিয়ে দেয় হওয়ার মুখে
ভেজানো দুয়ার শিরে !
কাঙ্খিত আবদার সাজানো থাকে এমনি করেই বুঝি
ইচ্ছার বরণ ডালায়(?)
তবুও প্রাণ খুলে সে আসেনা বাহিত সুগন্ধি নিয়ে।
বৃথাই বুঝি সাজানো বাগ !
দক্ষিণ মেরুর প্রান্ত থেকে বয়ে আসে সেই কলতান
ভাঙা চুরির অভিযোগ।
কিন্তু আসেনা ফুলের সুগন্ধি বাতাস।
তাই বুঝি অপেক্ষার প্রহর গুনি প্রতিদিন
আর খুলে রাখি চেরা বাঁশের
চৌকাঠ নির্মিত দুয়ার।
অসাধারণ কবিতা সকলের
সবাইকে আমার কুর্নিশ জানাই।