কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আবেগ,ভালোবাসা,চোখের জল এবং ভাষণ ঝড় তুলে,ইরানি ডাক্তারের আত্ন ত্যাগ মানবতাকে স্মরণ করিয়ে দেয় । আসুন আমরাও মানবিক হই । অনুপ্রানিত হয়ে কবি রুমকি আনোয়ার লিখেছেন কবিতা “থাবা ”

777

থাবা

     রুমকি আনোয়ার

বৃষ্টি যখন হচ্ছিল তখন মনে হচ্ছিলো মৃতের দীর্ঘশ্বাস
ভেবেছিলাম বেঁচে থাকা মানুষগুলোর সব কান্না বৃষ্টি ধুয়ে নিবে –
বৃষ্টি সে করুণাময়ের দান
তিন লাখ মানুষের হাসি ফিরিয়ে দিতে পারেন ।
আবার সবাই কাজে যাবে ,মেশিনের সেই চির পরিচিত শব্দ ,ফেরিওয়ালার হাঁক
কোন মা তার সন্তানের জন্যে অপেক্ষা করবে ,
কোন বাবা তার মমতার হাত বুলিয়ে দেবে ,
বেকার ভাইটা জমিয়ে রাখা কষ্টের টাকায় বোনের হাতে তুলেদেবে কবিতার বই
বৃদ্ধ দাদু এসে বলবে , ” দে পড়ি ।”
খুব রাতে লেট নাইট মুভি দেখে পাড়ার বখাটে কোন ছেলে শিস দিয়ে ফিরবে
সময়ের ঘূর্নি এখন অসময়ে –
শূন্য গ্লাস পড়ে থাকে টেবিলে
আজ অন্তরে বাহিরে ঝড় ওঠে মনে ।
এখানে মৃত্যুর কান্না উড়ে বিষাক্ত বাতাসে
বৈকাল হ্রদ জেগে উঠে অন্তরে ,
তৃষিত আঁধার আজ আলো খুঁজে শুধু পথ ভুলে
মৃত্যুর পরিসংখ্যান ক্রমে বাড়ছে , বাড়ছে আর বাড়ছে –
মেজরিটি মাস্ট বি গ্রান্টেড বলে আজ নিজেই হাসছি ,
বাঁচা – মরার মাঝে দূরত্ব কমে এসেছে ।
রেড এলার্ম বলে চেচাচ্ছে যুদ্ধ ফেরত পাগল সৈনিক
জাস্টিন ট্রুডো হাঁটু গেঁড়ে গীর্জাতে মোম জ্বালিয়ে প্রার্থনাতে
পাগলের মত হার্টবিট মেপে চলছে রুহানি ইরানে –
কাঁদছে বাংলার ছনের ঘরে সদ্য জন্ম নেয়া শিশু ।
আজকের আমি তার জন্যে প্রার্থনা করে যাচ্ছি
বড় ম্লান গায়ত্রী সন্ধ্যা সুর তুলে ভৈরবীর
কামিনীর অন্ধ চোখ ফেলে যায় জল
পথ ভুলে পথ নদীর সাক্ষাতে ,
তোমার চোখ আঁকা হয় অচেনা নক্ষত্রে
আমার কিশোরী বেলার আহত প্রেম জলের উপন্যাস লিখে যায় ।
কিছু চোখ চেয়ে থাকে , কিছু চোখ নিহত হয়
আমি চেয়ে থাকি আগামীর দিকে
শুধু অশ্রুই জমা হয় চোখে –
করোনা করুণা করতে শিখে নি কখনো ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here