নিশ্চুপ হয়ে গেছি আমি
গাজী মোসাঃ লতা ইসলাম
আমি অন্য ভূবনের অন্য মানুষ,
নির্মম গণহত্যা, মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ,
আগুনের লেলিহান শিখা,
বুলেটের স্রোত, শুধু মাত্র হাসি তামাশা মনে হয় ,
কখনো এগুলো দেখে কাঁদেনা আমার বুক
অমি অন্য ভূবনের অন্য মানুষ।।
কোন একদিন রাজপথের অলিতে গলিতে এসে..
তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলো যারা।
মৃত্যুর সজ্জায় শায়িত হয়ে গেছে তারা,
শতো বেদনা ভরা বুকে,
এক সমুদ্রের জল চোখে।
কেঁদেছিলো বাংলাদেশের মা, বোনেরা
শুধুমাত্র দেখার জন্য স্বাধীনতার মুখ।
আমি অন্য ভূবনের অন্য মানুষ।।
চিৎকার করে বলতে আমি চাই
কোথায় সেই স্বাধীনতা? কি পেয়েছি আমরা?
হ্যাঁ, আমরাও পেয়েছি।
ভয়ে ভয়ে পথ চলা, বাকশক্তি হরণ,
কিছু হায়েনা, নিরীহ মানুষের রাস্তা বন্ধ করে
খেলছে হোলি খেলা।
অসহায় মা বোনের আজ
সম্মান ছিনতাই, মাদকের রাজত্ব,
আর কতো, আর কতো, দেখতে হবে? আর কতো দিন,
যদি চোখ বন্ধ করে দেখতে না পার?
হারিয়ে ফেলবে হুঁশ
আমি অন্য ভূবনের অন্য এক অন্য মানুষ।।
মনে রেখো
আমি বঙ্গবন্ধু বলছি শোনো হে বাংলার মানুষ,
আমি করে ছিলাম স্বাধীন এদেশ,
কিন্তু পারিনি করতে আগাছার শেষ।
তাইতো নির্বিচারে আমার পরিবার, পরিকল্পনা করে, হায়েনারা করে ছিলো শেষ।
আমি দেখেছিলাম স্বপ্ন একটি স্বাধীন জাতির, স্বাধীন দেশ।
প্রতিবাদ করোনা কভু মনুষ্যত্ব বিকাশের সুযোগ হয়নি,
তবু কেনো জানি আমার কাছে সত্যের মহাগ্রন্থের সারমর্মে প্রেম জেগে উঠেছিলো হৃদয় মাঝে।
তা-ই তো নির্মম গণহত্যার শিকার হয়েগেছি।
পাইনি সকালের সূর্য দেখার এটুকু সুযোগ,,,
আমি অন্য ভূবনের এক অন্য মানুষ।।
যদি প্রতিবাদ করতেই হয় তবে একা একা নয়।
জরো হও একসাথে সকল বাংলার জনতা।
যেনো কাঁদেনা এই বাংলার আর কোনো মা।
হে, আমার ভাই বোনেরা দেখতে চাই আমি ছিনিয়ে আনো তোমরা বাকশক্তির স্বাধীনতা।
ছিনিয়ে নিয়ে যাও একটি সোনালী সূর্যের মুখ।
আমি অন্য ভূবনের অন্য মানুষ।।
চোখে আসেনা জল, দাউ দাউ করে জ্বলে আগুন
ভয়ে কাঁপেনা কিছুতেই বুক,
আমি অন্য ভূবনের এক অন্য মানুষ।।