প্রেক্ষাপট-৫৩%
শ্যামল বণিক অঞ্জন
একটি বাসি রুটি চুরির অপরাধে
অভুক্ত আব্দুলরা গণপিটুনিতে রক্তাক্ত হয়,
“ক্ষুধা ও দারিদ্রতা মুক্ত “বাংলাদেশে বিভিষীকাময় নির্যাতনে ভুলুন্ঠিত হয় মানবতা!
অথচ,লক্ষ মানুষের মুখের আহার চুরি করেও কেউ কেউ আবার “গরীবের নেতা “হয়েই প্রতিনিধিত্ব করছে রাজনীতির ময়দানে।
ক্ষুধা দারিদ্রতার যাতাকলে পিষ্ট নিরুপায় হয়ে সভ্রম বিক্রি করে যখন অবলা আমেনারা বেশ্যা উপাধীতে শিরোনাম হয় খবরের-
মিস এ্যানিরা তখন উগ্র আধুনিকতায় মিটিয়ে যৌবনের ক্ষুধা
রয়ে যায় লোকচক্ষুর অন্তরালে!
সত্য ন্যায়ের দিশারী এক পরিক্ষিত জননেতা তাঁর আদর্শকে আঁকড়ে ঘুরে বেড়ায় ছিন্ন বস্ত্র গায়ে জড়িয়ে-
তেলবাজ তোষামোদকারী আদর্শহীন সেতারা তখন দাপিয়ে বেড়ায় মাঠ থেকে রাজনীতির রঙিন মঞ্চ,
অলঙ্কৃত করে মূল্যবান আসন, ভোগ বিলাশে কাটাচ্ছে জীবন।
ঘুষখোর অসৎ অথর্ব কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রভাব দাপট আর দৌরাত্নে আজ কোনঠাসা প্রকৃত সৎ নিষ্ঠাবান ত্যাগীরা সমাজ রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরেরই!
সবুজ সোনার দেশের সবুজ প্রকৃতির শাখায় শাখায় অাধিপত্য বিস্তার করেছে আজ বাঁদরের দল,
আর পাতায় পাতায় বাসা বেঁধেছে সার রস চুষে খাওয়া ক্ষতিকর পঙ্গপালেরা!