আত্মার আলেখ্য
জেসমিন জাহান
দেহের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে
অনেক যত্নে লিখে রেখে গ্যাছো
অবহেলিত জীবনের কিচ্ছা। পাঁজর ভাঙ্গার শব্দে সময় এসে
থমকে দাঁড়ায়; অবাক বিস্ময়ে!
দৃষ্টি হয়ে যায় স্থির, অচঞ্চল। জানালার ফ্রেমে আটকে যায়
খোলা আকাশের ধূসর পর্দাটা।
বিকট আলোর ঝলকানিতে
হঠাৎ প্রকম্পিত হলো চারদিক
গাঢ় থেকে গাঢ়তর হলো অন্ধকার।
তারপর, কোথায় এলাম জানিনা
তুমি চোখ মেললে বহুকষ্টে
আমাকে শেখালে একে একে
বৈরি ভুমে বেঁচে থাকার কৌশল,
টিকে থাকার লড়াই আর
সাহস নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ়তা।
নিজেকে বঞ্চিত করেছো
সংসারে প্রতিষ্ঠা করতে আত্মজকে
অপমানে নীল হয়েছো নিশিদিন
তাই গোপন অভিমান বুকে পুষে
নিরবে চলে গেলে একদিন।
সবাইকে দায় মুক্ত করে অজানায়।
যেখানে কোনো অপমান আর
তোমাকে ছুঁতে পারবেনা
কোনো কষ্ট আর দ্বিখণ্ডিত করবেনা
তোমার মায়াময় হৃদয়কে।
শান্ত স্নিগ্ধ লোবানের আবেশ,
নিস্তব্দ নিরবতা ঘিরে থাকবে তোমায়
কোন অনুশাসন বিদ্ধ করবেনা নিয়ত।
তোমার অস্তিত্ত্ব বিলীন হবে
এক শুদ্ধতম পরমাত্মার নির্ভরতায়।