আমার অনুভবে কবিতা
নাসরীণ জাহান রীণা
কাঠিন্যতা কেবলমাত্র গুটিকয়েকের জন্য ;
সর্বসাধারণের বিবেচনায় কবিতা হবে তাই সহজবোধ্য।
অতি মশলায় যেমন সালুন অরুচিকর করে তোলে –
অতি বিশেষণও কবিতা’কে দুরূহ করে ; অরুচি ঘটায়।
ভারি অলংকারে নারীকে সবসময় মোহিত লাগে না ; কবিতাও নারীরই মতো।
সাধারণ সাজেই কবিতাকে বেশী মানায় –
একদম মার্জিত, চৌকস।
সাধারণ মানে আবার আলা-ভোলা নয় ; কিছু প্রসাধনীর ছোঁয়া অবশ্যই থাকবে।
ভাবের শাড়িতে কবিতা’র শরীর আচ্ছাদিত হবে…
উচ্চমার্গীয় শব্দের অলংকার কর্ণে দুলবে…
ছন্দের স্পন্দনে নৃত্য করবে তার হিয়া…
কিছু শিক্ষা কবিতা’র গলে মোতিহার হয়ে জ্যোতি ছড়াবে…
অন্ত্যমিল-অনুপ্রাস তার অঙ্গে চটুলতা আনবে…
উপমা-উৎপ্রেক্ষার ঝলকে কবিতা হবে লাস্যময়ী…
পর্বগুলো অঙ্গসৌষ্ঠব প্রদর্শনে সদাপ্রস্তুত থাকবে…
আধুনিকতা কবিতাকে করবে নিত্যনবীনা,প্রাণচঞ্চল…
উপযুক্ত ভাবাবেগ থেকে নিঃসৃত রসে পাঠকের অন্তর সিক্ত করবে…
সঠিক নামকরণটিই কবিতা’র কপালে টিপ হয়ে শোভা পাবে ।
একটি সার্থক কবিতার সাজসজ্জায় আর সহজবোধ্যতায় সকল পাঠকের অন্তর আলোড়িত
করে । যেমন —
ফুলের সুঘ্রাণে ভ্রমর,,
নারীর সৌন্দর্যে নাগর ।।