“বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, রেণুর করকমলে” বঙ্গমাতার জন্মদিনে গবেষণা মূলক লেখা লিখেছেন কলমযোদ্ধা–কল্যাণী দেব চৌধুরী (শিলালিপি )

596
বঙ্গমাতার ৯০তম জন্মবার্ষিকী আজ

বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, রেণুর করকমলে।

                    কল্যাণী দেব চৌধুরী (শিলালিপি )

“”””””””””””””””””””””””””””””””””
ইচ্ছা করে ছুঁতে তোমায়
ফজিলাতুন নেছা মুজিব।
প্রতীক্ষার প্রহর কাটতো
যে ব্যক্তিত্ব কে ঘিরে
রেণু ডাকটি শুনতে মন—
করতো জ্বালাতন।
পাকিস্তানের অন্ধকার কারায়
কেটেছে যখন প্রিয়তমের জীবন।
সংসার রান্না র ক্ষণে ক্ষণে
তাকাতে হতাশ আকাশ পানে;
কষ্টের সাগর পাড়ি দিবে কেমনে ;
অবুজ সন্তানদের সনে।
পঁচিশ বছর জেলে কাটায়,
প্রিয়তমার যে প্রিয়জন –
আঁছড়ে পড়ে, গুমরে মরে;
লক্ষ কোটি স্বপন।
প্রতীক্ষার দিন কেটেছে তবুও
সেই পদতল ঘিরে ;
বাড়ী ছাড়া, আশ্রয় খোঁজা,
লুক্কায়িত জীবণ।
পশ্চিম পাকিস্তানি ও রাজাকার শত্রু
স্বামী মুজিব ও বাঁচবে কি?
আর মোদের জীবন।
কলম খাতা পাঠিয়েছ,
জেলের নির্জন কক্ষে,
মনকথা ও কালের ইতিহাস,
রাখেন যেনো স্বামী!
অনাগত বংশধরদের পক্ষে।
কতো বুদ্ধি কতো ধৈর্য,
চাপা তোমার চোখে।
মাথায় হাত বুলিয়ে,
দাঁড়িয়েছো,
অসুস্থ স্বামীর শয্যাপাশে।
পছন্দের সব খাবার সাজিয়ে,
রেখেছো মুজিবের সামনে।
ধন্য জীবন ফজিলাতুন নেছা —
বঙবন্ধু পেয়েছিলেন তোমার স্পর্শ।
কতো স্ব শিক্ষিত হলে,
এমন ব্যক্তিত্বের সাথে চলে ;
দুটি মন মিলেছিলো তাই,
তাই অমর হয়ে রইলে,
ইতিহাসে চিরকাল।
কতো কষ্টের মাঝে ও ছিলো;
স্বামী কে দিতে প্রেরণা!
তাই তো বাংলার মানুষ পেলো ;
স্বাধীনতা, মুক্তি আর নির্দিষ্ট সীমানা।
দেখুক আজ বিশ্ববাসী,
বাংলার গরবিনীর,
ত্যাগের পরিসীমা।
শীতল সামিয়ানার নিচে,
ঝেঁপে রেখেছিলো,
যে সকল শূণ্যতা।
তাই তো বিশ্বের অন্য,
লক্ষ কোটি রমণী থেকে,তুমি
অনন্যা।
পানের খিলি তুলে দিতে ;
কল্কে কখনো বানিয়ে দিতে,
কতো যত্ন করে।
কষ্ট অভাব শূন্যতায়,
ছায়াহীন পথে হেঁটেছো,
শেখ হাসিনা,শেখ কামাল,
শেখ জামাল,শেখ রেহানা,
শেখ রাসেল কে নিয়ে।
অত্মীয়স্বজন রাজনীতিবিদের,
সম্মান কুড়িয়েছো;
নিজকে ত্যাগী করে।
ত্যাগীরা সম্মান পায়,
ভোগীরা হয় অপাংক্তেয়
তুমি আর মুজিব শ্রেষ্ঠ প্রমাণ,
জানে পুরা বিশ্ব।
কতো নির্ভর আশ্রয়স্থল ;
পেয়েছিলো সুলতানা কামাল
পারভীন জামাল রোজী।
বটবৃক্ষ ছিলে তুমি,
আত্নীয়স্বজন সহ,
ধানমনডি ৩২ এর সকল ;
শহীদের কাছে।
ঘুমাও শান্তি তে বঙ্গমাতা;
সন্তানদেরে নিয়ে বুকে।
তোমার বাংলা জেগে আছে,
বাংলাদেশ পাহারা দিতে।
মুজিবের প্রদীপ নিভাতে কেহ,
পারবে না কস্মিনকালে।
আলবদর, আলশামস্
রাজাকার কি ভেবেছিলো?
এইদিন আসবে কোন কালে।
মহাকাল কে বদলাতে কারো,
নাই যে কোন শক্তি।
সকল শহীদ যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা,
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের এই সময়,
মা বোনদের নির্যাতনের,
জবাবের এই ক্ষণে,
লালসবুজ পতাকা হাতে –
লাল সালাম তোমাকে।

“””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””‘””””
 লেখক : – আইনজীবী /কলামিস্ট/ মানবাধিকার কর্মী / কথাসাহিত্যিক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here