কলমযোদ্ধা–রাস্কীন চক্রবর্ত্তী লিখেছেন কবিতা “সৃষ্টির জয়”

460
কলমযোদ্ধা–রাস্কীন চক্রবর্ত্তী লিখেছেন কবিতা “সৃষ্টির জয়”

সৃষ্টির জয়

           রাস্কীন চক্রবর্ত্তী

আমি ভালো ছিলাম, খুবই ভালো ছিলাম
সত্যিই ভালো ছিলাম।
সারাক্ষণ মাতৃসেবা, পিতৃসেবা আর সৃষ্টিকর্তার সেবা করতাম।
সমাজের উন্নয়নে এগিয়ে যেতাম,
যেতাম বিপদে পড়া মানুষকে সাহায্য করতে।
ধর্মীয় অনুশাসনে জীবনকে পরিচালিত করতাম।
আরো করতাম সংস্কৃতির নতুন নতুন কিছু সৃষ্টি।
গান, কবিতা, নাটক, নৃত্য আরো কত কি!
কিন্তু একদিন হঠ্যাৎ আমায় স্তব্ধ হতে বাধ্য করলো,
সভ্য সমাজের শিক্ষিত অসভ্য মানুষগুলো।
আমাকে চুপ করিয়েই দিলো!
অন্যায়ের প্রতিবাদ করা মানুষটি, আজ নিরব দর্শক হয়ে রইল।
ধর্মিয় অনুশাসনে চলা মানুষটি, হয়ে গেলো অনুশাসন বিরোধী।
নিজের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে নতুনত্ব সৃষ্টিকারী মানুষটি, আজ সৃষ্টির ধ্বংসকারী।
অর্জিত মুল্যবোধ কে বিসর্জন দিতে বাধ্য করলো,
মুল্যবোধহীন ওই মানুষগুলো।
সে মানুষগুলি নিজে তো কিছু করে না,
কেবল কিছু করা মানুষগুলোর পিছনে লেগে থাকে।
আরো করে সংস্কৃতির নতুনত্ব সৃষ্টিকে,
ধ্বংস করার পায়তারা।
নতুনত্ব সৃষ্টির পাশে না থাকা মানুষগুলোই
ভুল ধরে সৃষ্টির পাশে থাকার মানুষগুলোর।
প্রকৃতির কি এক আজব নিয়ম,
তাই না? হা হা হা!
সমাজে ওই শিক্ষিত অসভ্য মানুষগুলো সমাজে রাজ করে।
তারা সবার কাছে হয়ে উঠে প্রিয়।
কিন্তু কেবল তারায় জানে, কত শত নতুনত্ব সৃষ্টিকে, বলি দিতে বাধ্য করে।
বাধ্য করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানুষটিকে পিছনে টেনে আনার এবং
তার প্রতিভাকে সমূলে ধ্বংস করার।
আমি মনে হয় তাদের কাছে হেরে গেলাম,
যারা সৃষ্টিকে, ও ভালো থাকাকে পছন্দ করে না।
তবে আজ এই ক্ষণে আমি আর ঘুমিয়ে নেই,
জেগে উঠেছি, উঠেছি জেগে।
করবো না আর, কেউ কিছু বলার ভয়,
চলবো নিজেরি মতো, থেকে অভয়।
যেজন করবে সৃষ্টির অপমান,
নতুত্ব সৃষ্টি করে, রাখবো সৃষ্টির মান।
তবেই থাকবেনা তাদের আত্মসম্মান
যারা সৃষ্টি নিন্দার থাকে ভহায়মান।
জাগো সৃষ্টি জাগো,
ভাগো নিন্দুক ভাগো।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here