সকল সৃষ্টি ছাড়া
বিকাশ চন্দ
বিষণ্ণতায় মৌণ এখন রাত পরিদের ঘরের কথা
ছায়ার মতো দিনে রাতে হারিয়ে যাচ্ছে—
মরশুমি ফুল বেল জুঁইয়ের স্নিগ্ধ বাসর মুখ
জীবন বন্দী বন্ধনে রাত দিন—
অসময়ে নিয়ে গেছে একমুষ্টি মাটি মাতৃ কারিগর
এখন জীবনের দাম বোঝে কি জগন্ময়ী।
চিতার আগুন নেভে পোড়েনি হৃদয় জ্বালা,
যত বার যেতে চেয়েছি আত্মজনের ঘরে—
তত বারই উগরে আসে শব্দ অক্ষর মাখা মাখি
সকাল সূর্যের মতো লোহিত কণিকা এক থালা।
কোন পথে গেলে চেনা মুখ মিলে যাবে বঁধুয়া—
মারণ সময়ে বিষম শোকে তোমার চোখে জল,
আজব সকাল কথার ভেতর কত টুকু জাগো তুমি
কত দূর যাবে সাথে সইতে পারবে শেষ অবধি !
ছাপা কাগজে তোমার প্রিয় শব্দাবলীর গান—
আমিতো দেখেছি দিগাঙ্গনা শব্দ প্রতিমা মুখ,
ঘরের দরজা কি মসজিদ না মন্দির নাকি গীর্জার
যারা পারে তারা থাকুক সময় সোহাগী সুরে
নইলে আমি শুক্র গ্রহের পথিক তুমি রইলে ধ্রুব তারা
কে কী ভাবলো রতি ঋতি সুখ সকল সৃষ্টি ছাড়া।