সাই -ক্লোন
লায়লা আহমেদ সেলিনা।
বয়সটা বেশি হলেও মনটা কিন্তু ষোড়শী
অগোছালো সেই আগের থেকেই,
হলো না জীবনটা গুছানো!
ভেতর আমার চঞ্চলতা বরাবরই ওপরে শান্তশিষ্ট! জীবন দ্রুত ফুরিয়ে এলেও
জীবন সাগরে হারায় উচ্ছ্বাস,
মন বিষন্ন হলে কল্পনার সাগরের ছুটে যাই বারবার।
তোর বুকের অশান্ত পাগল করা লহরি
আছড়ে পড়তো আমার বুকের কিনারায়,
ব্যথা পেয়েও সহ্য করে যতনে-
আগলে রেখেছি তোর ক্ষিপ্ত লহরি।
তোকে বুঝতে দেয়নি কখনো
অভিমানের ঢেউ গুলো-
আমার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে
তোর উর্মিমালা গলায় পরে,
আলতো আদর বুলিয়ে তোর সব মন দিয়ে শুনে
অন্যায় অনুরোধ প্রাণ দিয়ে
পালন করার চেষ্টা করেছি।
তোর আদর রাগ অনুরাগ অামার অন্তরে গাঁথা!
ভাটার সময় তোর কিনারায় ইচ্ছে করে যেতাম না
তোর অনুভূতি দেখেছি,
জোয়ারে তীরে এসে পাগল হয়ে-
খুঁজছিস আমি ঝাউ বনে লুকানো না পেয়ে —
তুই হুতাশন মূতি ধারণ করে আস্ফালন!
সেই তুই আস্তে আস্তে কেনো বদলে গেলি সাগর?
আমি আজও চেতনা হীন
হঠাৎ কেনো তোর ভিন্ন রূপ?
উর্মিমালা ছুটে অন্য গতিতে
তীরে বসে আমি ব্যাকুল,
বারবার ফিরে আসি
তুই মায়া হীন, দয়া হীন,সাগর।
তোর অবহেলা বুঝে গেছি
তাই আজ অসহায় বিষন্ন!
তুই অন্য কাউকে নিয়ে বেশ আছিস।
মনের মোড় ঘুরে,
সঞ্চিত অবহেলার জঞ্জাল
ফিরিয়ে দিলাম তোরই বুকে।
বেশ উল্লাসে ঘুরপাক খাচ্ছিস
জীবন শঙ্কিত বিপদ- সংকেত
ধেয়ে আসছি হয়ে সাই-ক্লোন!!