হুইল চেয়ার
ইন্দ্রানী ভট্টাচাৰ্য
সঙ্গী আজ হুইল চেয়ার
আর ছোট্ট এক কামরার ফ্ল্যাট
একচিলতে বারান্দা ,আর দু জন কাজের দিদি |
এক্সিডেন্ট —-আমি আর মা বাবা
স্পট ডেড মা বাবা —-আমি হারালাম পা !
আজ কুড়ি বছরের ওপর বেঁচে আছি এইভাবেই 😥
মনেরজোর টা হারিয়ে ফেলিনি
প্রথম প্রথম স্বজন রা খোঁজ খবর নিতো
অবশ্যই সহানুভূতি বসত —–
তারপর ????এই চিহ্ন টাই থেকে গেল |
আজ লেখাই আমার একমাত্র সঙ্গী ,
ডিপেন্ডেন্ট মেয়ে আমি তারওপর প্রতিবন্ধী
তবে এই প্রতিবন্ধী শব্দ টায় আমার ভীষণ আপত্তি |
বাবার পেনশন টা পাই —–
তাই আমি ঋণী বাবার কাছে
চলে গিয়েও আমাকে ?🙏🙏
ফ্ল্যাটের প্রতিবেশীরা মাঝেমাঝে খবর নেয়
কাজের দুই দিদি আমাকে আগলে রাখে
বারান্দা টা আমার মুক্ত নিঃশ্বাস —-
লেখা গুলো সব জড়ো হয় ,
তারপর খসখস করে লিখি |
এই লেখাগুলো কখনো কারোর কাছে
পৌছাবো কিনা জানিনা —-
তবুও ভাবনা গুলো লিখতে বেশ লাগে |,♥
আমি বাইরে বড় একটা বেরোই না
একটা চাপা আতঙ্ক আজও আছে !
দিদিরা জানে আমার লেখার কথা
ওরা ফিসফিস করে কি জানি কি ভাবে ওরা |
আমি লিখে চলেছি নিত্য নতুন ভাবনা
এইভাবেই একদিন আসবে আমার ও শেষ বেলা ¡
শুধু চাই এই লেখাগুলো যেন দু একজন পড়ে
আদৌ কি হবে আমার এই চাওয়া পূরণ 🙏🙏🙏