নীলকন্ঠী
প্রেমা চক্রবর্তী
—————————
বিষন্ন তাপে চেয়ে আছি রোদ্দুরের দিকে।
যেন ধোয়া ওঠা চায়ের কাপ থেকে কুয়াশা ঝড়ছে।
যেন ওড়না ছড়িয়ে বিস্তির্ন মাঠে ছুটে যাচ্ছে কোন মেঘবালিকা,
যেন সূর্য ছড়িয়ে দিচ্ছে তার সমস্ত তৃষ্ণা
কিন্তু আমিও যে সেদিন তৃষ্ণার্থ ছিলাম খুব
সেদিন জলের বদলে কেউ একজন মুখে তুলে দিয়েছিল হেমলক বিষ,
তারপর জ্বলতে জ্বলতে পুড়ে খাক হতে হতে
হয়ে উঠেছিলাম নীলকণ্ঠী,
এরপর থেকে রোদে আর চোখ পুড়ে না-
গভীর ঘুমে কুস্বপ্নে ও আসে না কেউ গলা টিপে ধরতে,
এখন স্বপ্নেও যেন নীল সবকিছু-
ভোর বেলা নীল স্বপ্নগুলোকে দেখি চোখ দিয়ে ঝড়তে।
সমূদ্র হতে নীল রঙা ঢেউগুলো আঁচড়ে পড়ে কোলে
যেন সমূদ্র তটে হেঁটে চলি নীল বসনা আমি
কেউ কেউ আমার নাম দেয় নীলস্পর্শী।