ভারত থেকে কলমযোদ্ধা-নিমাই জানার অনন্য সৃষ্টি দীর্ঘ কবিতা “রাম সাউয়ের জন্য কিছু দুর্বোধ্য”

365
নিমাই জানার অনন্য সৃষ্টি দীর্ঘ কবিতা “রাম সাউয়ের জন্য কিছু দুর্বোধ্য”

রাম সাউয়ের জন্য কিছু দুর্বোধ্য

নিমাই জানা

এক পাগলের মৃত আত্মার সঞ্চরণপথ জানতে কাঁচকে ঠোঁটের মতো ছোঁয়ালাম , যদিও উদ্যানটি বিষাক্ত ছিল
হঠাৎ কাঁচের দুটি হাত থেকে শেকড় গজাতে তাকে আমি ঠোঁটের তলায় লুকিয়ে রাখলাম
স্নেল নামক লাজুক বিজ্ঞানী বিবাহের আগে সন্ন্যাসীদের সাথে এক পক্ষকাল তপোবনে কাটিয়ে গেছেন
মুনিঋষি অভিমানে একতাল নারী মাংস খেতে বললেন প্রিয় শিষ্যকে
শূন্যকে নিয়ে বিস্তর গোলযোগ আছে ত্রিকোণ মিতির প্রতিটি চ্যাপ্টারে

কঠিন জামাটি আগুন বর্ণের ইতিহাসের অধ্যায় বিবাহ থেকে বিরত আছেন
শোকে মুহ্যমান কলার বোনটি ভেঙ্গে যাওয়ার আগে হরিণী হতে চেয়েছিল গোপন অন্ধকারের বাটিক প্রিন্টের সাথে
সাঁওতাল নারীরা ঢুকে যাচ্ছে মহুয়া গন্ধ ঘরের ভেতর , রাত্রি হলে ভাঁট ফুলেই তিলোত্তমা গজায় নেশা ছাড়ে চাঁদের বাষ্পীয় মদ
এখানে সকল উপপাদ্যের অঙ্কন প্রণালীতে একটু শিলাবৃষ্টির আঁচড়ের দাগ দেখা দিয়েছে
পায়ে পায়ে খুকুমণি আলতা

পুরানো সাইকেলটিকে অস্ত্রের মতো মনে হয় গভীর রাতে ঘুম ভাঙলেই সাইকেলের ক্যারিয়ার আমাকে নবম শ্রেণীর ফাস্ট বেঞ্চে নিয়ে যায়
আমার পিঠে দুটো ধ্রুবতারা এঁকে দেয় আমার পুরনো রিম্পা
রাতের পোশাক পাল্টে হাঁটতে হাঁটতে চলে যাই অবৈধ মানুষ গাছের কাছে
একটি ডিম্বাণু তলপেটে নিয়ে অনেকেই কদমফুলের স্বপ্ন দেখছে হয়ে
রাত্রির সবকটি জলজ ছায়া গাছের বাকলের মতো মৃত মানুষ হয়ে ওঠে
বাঁশিটি একাই বেজে ওঠে রাত্রির দ্বিতীয় প্রহরে সব নিশাচর বেরিয়ে আসে গাছের শিকড় থেকে
রাত্রির মতো বড় অস্ত্র আর নেই
আমার সাইকেলের মাডগার্ডটি একটি উপলক্ষ্য ছিল , চাকা মানুষটি একটি সুদর্শন চক্র

মাইগ্রেন দুই মুখো ফুলের মতো বলে চোখের সন্ন্যাস কদম ফুলকে নিঃসঙ্গ করেছে
যদিও বাইফোকালের ফোকাস দূরত্ব মাপতেই
ভেজা স্কুলপড়ুয়ার নরম ইউনিফর্মে অস্ট্রেলিয়ার হরিণেরা মানচিত্র ছেড়ে দৌড়ে উঠে আসছে ম্যাপ পয়েন্টিং খাতায়
অনেকে জন্ম ঘরের কাদা মাটির গল্প শোনায় , কাঁচটি হেসে উঠছে আমার গোলাপি ত্বক দেখে
স্নানের পর গতরাতে অনেকেই শালুকের বীজ বুনেছে আমার যন্ত্রণার পিঠে
গলাটি কেমন সরু অথচ পাথর হয়ে যায়
আমার বাবা মাথায় একটি ছেঁড়া গামছা পরিয়ে দেয়
আমি একটি অভাবী সংসারের পর্যায়বৃত্ত ঘড়ি হয়ে যাই
স্নানের পবিত্র গঙ্গাজল রাখি গোপন অন্তর্বাসে

জোনাকির মতো মৃত্যুকে জাগিয়ে রাখি সাদা কাগজের পৃষ্ঠায়
আমাদের যন্ত্রণা মাপার সময় ঘড়িটি আবিষ্কার হয়নি অথচ ক্ষতস্থান সহস্র বছরের পুরোনো
রাম সাউ আমার হাতে দুটো জোনাকি আর ডিসপ্রিন ট্যাবলেট ধরিয়ে দিলেই আমি নরম মাটিতে শুয়ে পড়ি
এখন ডিপ্রেশনের দুটো কবিতা লিখছি
জলজ সাপেরা বড় পেঁচিয়ে ধরেছে সমভূমি আর রাঢ় অঞ্চলের মাঝে থাকা লাল উপত্যকাকে

আমারই মা জেগে উঠেছে আমার মৃত্যুর দিনে হাতের লাল ডুরি বেঁধে দিয়েই মৃত্যুর করিডোরে দাঁড়িয়ে কৃষ্ণনাম করছে আশ্রমিক
আগামীকাল একবার পাগলের দেশে দাঁড়াব
ঈশ্বর পাগল হয়ে যাওয়ার আগে রামকে ১৪টি কঠিন প্রশ্ন করেছিল
আগুনের জীবাশ্ম দণ্ডকারণ্যের মৃত শরীরের
টেক্সট এডিট করবে
মা, একান্ত আমার জন্য কিছু ছাই উড়িয়ে দিচ্ছে ঘুড়ির মতো , অংক পৃষ্ঠাটি ক্রমশ ভারী লাগছে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here