” জলকন্যার হিরন্ময়ী ঝিনুক “
———- দিলু রোকিবা
তোমার ঝিনুক বুকে লুকানো ভালোবাসার মুক্ত
কোনো বৃষ্টিস্নাত বিকেলে
খুঁজে দেখার প্রশ্রয় দাও নি বলে
ভেজা হলো না।
তোমার আদুরে যৌবনে
কদম ফোটে প্রতি বর্ষায়,
আর আমার, পুষ্পিত প্রেমের শতদল থেকে
একটা একটা করে মেঘমেদুর পাঁপড়ি
খসে পড়ে তোমার পদ্মদীঘিতে।
কোন এক দুরন্ত মন উচাটন
বুকের ব্যালকনিতে, মাতাল ময়ূরের কেকানৃত্যে,
বর্ষা ঝরেছিলো মনে নেই?
তবে যৌবন ফুটেছিলো সে বর্ষায়, নিশ্চিত হয়েছিলাম।
শুনেছি..চোখে চোখ পড়লে, বুকে বিদ্যুৎ চমকায়!
ভরা গাগরীর জলগোধুলীর পথে,
মুগ্ধ চোখের মেঘলা কুমুদ রোজ বর্ষার।
আজ ফিরে দেখার উচ্ছ্বাস উর্ধ্বমুখী।
বয়োঃসন্ধিকালের ফুটন্ত শ্রাবণী কদমফুল
ঝুমবর্ষায় ঝরে পড়লেও,
কুড়িয়ে রেখেছি হৃদয়ভর্তি টুকরো হীরের মুহুর্তগুলো।
ক’খানা বৈকালী বর্ষার ‘বাদলউৎসবে’,
কাচাহলুদের শরীর ভেজালে,
তবেই হিরণ্ময়ী ভালোবাসার কদম ফোটে?
এ প্রশ্নের দুঃসাহস,কখনও ছিলো না,আজও নেই।
তবুও নির্বৈভব নিবেদনে, বিম্বিত চোখের সুনীলে,
ঊষর জলে আজও, সবুজ দুর্বার যৌবনকে
মুঠোবন্দী করে রেখেছি,
এই বৃষ্টিস্নাত বিকেলে, তোমার মন্দাকিনী
শরীরের অববাহিকায়
অভিসারের নির্ঝরিণী হবো বলে।••••
ঢাকা, মোহাম্মদপুর
(স্বয়ং সংরক্ষিত)