পুরোটা অন্ধকার তোমাকে দিলাম
গৌতম নাথ
তুমি হাঁটতে থেকো সে পথ ধরেই , যে পথে প্রিয় মৃত্যুকে ছুঁয়ে নিতে পার।
তোমার সেই পদ্মলোচনের তারায় তারায় এঁকে দিলাম বিশাল এক আদিগন্ত খোলা রাজপথ।
অতি প্রিয় মুখ তোমার সেই মৃত্যু সুখ দু-হাত বাড়িয়ে আছে অনন্ত শান্তির ঠিকানায় , আজ তার দরদী আঁচল পেতে।
জানি জীবনের ঠিকানায় তুমি প্রচণ্ড হীনমন্যতার এক জলছবি ; ভীষন ভীষন ভাবে ভরসা হারিয়ে ফেলা কোনো এক অচল পয়সা।
তোমার প্রিয় ঘর , তোমার ভালোবাসার নীল সমুদ্র , এসব তো এখন অনন্ত অন্ধকারের জমিদার বাড়ির আশপাশেরই স্থায়ী সম্পদ।
অনন্ত কালের পথভ্রষ্ট পথিক তুমি , তুমি সেই নষ্ট আকাশের নষ্ট তারা ; ঘর-প্রিয়জন ছেড়ে আজ তুমি পরাজিত সদানন্দ।
হৃদয়ের বন্ধন কিংবা গৃহসুখ তোমার চিরকালের নুন ধরা মাঠ।
এখানে তোমার জন্য আর কোনো খোলা আকাশ নেই ; আর কোনো সম্ভাবনা বেঁচে নেই ।
মরমে মরমে তুমি বসন্তের নষ্ট চিত্রকলা।
তোমার জন্য সাজিয়ে রাখলাম আদিগন্ত থরে থরে সহস্র মৃত্যু; আকাশ পাতাল হাহাকার —– এ সবকিছুই দিলাম তোমাকে।
এবার পুরোটা অন্ধকার রইলো তোমার , যত ইচ্ছে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নাও ; নিজের মতোই আলিঙ্গন করো।
তুমি হাঁটতে থেকো প্রিয় মৃত্যুর সেই উপত্যকা পথ ধরে।
এই মহারোগের মহাজলধিতে তুমি তো চাইছ মৃত্যুর সাথে বিনম্র আলিঙ্গন।