জলের নূপুর
বিকাশ চন্দ
বরফের চাদরে চিড় ধরেছে
রোদ রঙ খেলেছে অন্তরে বাহিরে,
অনাত্মীয় শরীর রয়েছে অপেক্ষায়
জল রক্ত মিলেমিশে একাকার—
অজস্র ফুলের মেলায় ঋতুরাগ
দুটো ঠোঁটে লজ্জা রাঙা বনজ সুনীলে।
শীতের আঁতুড় ঘরে লুকিয়ে বসন্তের সবুজ রঙ —
উঠোনে ধান ঝাড়াই মেসিনের ঘর্ঘর শব্দ,
অন্ধরাতে জোনাকি মহোৎসবে ঝিঁঝিঁ পোকা,
নবান্ন সময়ে এখন সুজাতা তুমি হাতে পরমান্ন
নিঃশব্দে ঠোঁট ছুঁয়ে জিভের স্বাদে নতুন অন্নকথা,
চুপিচুপি তোমায় পিছু টানে অন্নপূর্ণা ঘরে।
আত্মকথার গহীনে পূন্য শ্লোক
ঝর্ণার অগোছালো পাহাড়ি স্রোত—
আহা পাঁপড়ি থর থর রতি রোষ,
স্বর্গ আর মর্ত্যের মাঝামাঝি নীরব দু’টো চোখ
দুটো পায়ে জলের নূপুর ছল ছল আশ্চর্য তন্ময়
চোখের তারায় আর পায়ের পাতায়।