তারুণ্যের বিশ্লেষক-নিলরুবা খানম সুমি এর অস্তিত্বের ভাবনায় অসাধারণ লেখা “জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন??”

834
তারুণ্যের বিশ্লেষক –নিলরুবা খানম সুমি এর অস্তিত্বের ভাবনায় অসাধারণ লেখা “জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন?? ”
তারুণ্যের বিশ্লেষক –নিলরুবা খানম সুমি

                             জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন??

                                                           নিলরুবা খানম সুমি

জাতি হিসেবে আমরা দিন দিন কোন দিকে এগোচ্ছি ।আমরা এগিয়ে যাচ্ছি নাকি পিছিয়ে যাচ্ছি? শিক্ষার হার বাড়া মানে সামাজিক উন্নয়ন?বা জাতীয় উন্নয়ন? এটা যদি হয়। তো আমি এর সাথে ভিন্ন মত পোষন করছি। আগের অশিক্ষিত বাবা মায়ের ছেলে মেয়েরা অনেক বেশি নীতিবান ছিলো।তাদের ছিলো সামাজিক দায়বদ্ধতা যা আজ তথাকথিত শিক্ষিত শ্রেনির মধ্যে দেখতে পাওয়া যাচ্ছেনা।আজ কাল খবরের কাগজ বলেন কিংবা টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলেন। যেখানেই চোখ রাখবেন সেখানেই সামাজিক অবক্ষয়ের চিত্র চোখে পড়বে।মেয়েদের বাইরে বের হওয়ার হার বেড়েছে সেই সাথে বেড়েছে ধর্ষন কিন্ত কেন? এই ধর্ষকরা কিন্ত ভিন্ন গ্রহের কোন লোক না। এরা ও আপনার আমার কোন না কোন পরিবারের সদস্য।কেন তারা আজ বিপদগামী এদের পথ দেখানোর দায়িত্ব কাদের??? যথাযথ শিক্ষা কেন ওরা পাচ্ছে না?এখন সময় এসেছে এসব নিয়ে ভাবার।সব সার্টিফিকেট দিয়ে যেমন চাকুরী হয় না। তেমনি সব লিখা দিয়ে ওসমাজ পরিবর্তন হবে না। তার ও একটা কারন আছে। আজকাল আমরা সবাই নিজেকে নিজে জ্ঞানী ভাবতে শুরু করেছি।আর মধ্যবিত্ত রা এমন হারে সুবিধাবাদি হয়ে গেছে যে আজ কাল কোন ধরনের ই কোন নৈতিক অবক্ষয় তাদের চোখে পড়ে না।আত্তকেন্দ্রীক ভাবনা সমাজকে দিন দিন ধংসের দাড়প্রান্তে নিয়ে গেছে।এরা নিজেদের এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগীতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।এখন ও সময় আছে আমাদের এই অসুস্থ প্রতিযোগীতা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে হবে।
নাইবা থাকলো মোদের বিত্তের বৈভব।একটা সাদামাটা সুস্থ সমাজ বা জাতি তো আমরা হতেই পারি।অন্যের ভাবনার উপর নিজের জীবনকে ছেরে না দিয়ে। নিজেদের ভাবনা চিন্তা ও মননে নিজের জীবনকে আমরা সাজাতেই পারি।একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আমাদের সবাইকেই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হবে।তাই পুঁজিবাদীকে তোষামোদ না করে। নিজের মতো করে বাঁচা উচিৎ।
এতে করে হয়তো আমরা সমাজের রক্ত চক্ষুর রোষানলে পড়বো।কিন্ত একবার ঠান্ডা মাথায় ভাবুন তো?এই অন্যায় তোষামোদ থেকে আমরা কি পাচ্ছি? বিবেক ধংসন কি আমাদের পোড়ায় না???আমি মনে করি পোড়ায়।পুঁজিবাদি সমাজ পতিরা সারাক্ষন ভয় নিয়েই বাঁচে।আমাদের তোষামোদ আমাদের নিজেদের মেরুদণ্ডই ভেংগে দিচ্ছে।তাই এখন ও সময় আছে রুখে দাড়াও –উঠে দাড়াও—।এক বেলা দয়ার দান ফিরিয়ে দাও। দেখবে আমরা জীবনের অর্জন টা শিখে গেছি।
আমি বলছিনা সমাজে বুদ্ধিজিবির সং্খ্যা কমে গেছে। আমি বলছি সমাজের বুদ্ধিজিবিও সুশীল সমাজের নিরবতা স্বার্থপরতা আমাদের সামাজিক অবক্ষয়ের একটা বড় কারন।
সুশীল সমাজের কথা বাদ দিলাম। আমরা সাধারন মানুষ যারা নিজেদের সচেতন নাগরিক হিসেবে দাবী করি তাদের ও সমাজে কিছু দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা আছে।নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমরা কি তা পালন করছি? না করছি না।যদি করেই থাকতাম তাহলে রাস্তায় কেউ নির্যাতিত হলে তার প্রতিকারে এগিয়ে না গিয়ে ভিডিও করতে ব্যস্ত হতাম না। আমাদের এই অসুস্থ মন মানসিকতা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।আর যদি আমরা এ স্ব স্ব অবস্থান থেকে নিজেদের দায়িত্ব পালন না করি।
তাহলে আগামীতে একটা অসুস্থ সমাজ বা জাতী বরণ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে। একবিংশ শতাব্দীতে যা কোন ভাবেই কাম্য হতে পারে না।তাই আসুন আমরা আমাদের বিবেককে জাগ্রত করি। একটা সুন্দর আগামীর জন্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here