” স্বাধীনতা দিবসের রক্তিম শুভেচ্ছা”
(দেশের চলমান সংকটে আতংকিত না হয়ে সবাই সতর্ক হউন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।)
সরওয়ারুজ্জামান মনাবিশ্বাস
আজ ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিবসে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর অতর্কিত হামলা এবং নির্বিচারে গনহত্যা শুরু করলে এ দেশের বীর জনতা তা প্রতিরোধে রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ মানুষের প্রান, দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম, দেশের প্রতিটা মানুষের ত্যাগ, তিতিক্ষা এবং সর্বোপরি মুক্তিযোদ্ধাগনের অসম যুদ্ধে বীরত্বপুর্ন লড়াইয়ের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয়েছে। তাই এই দিবসে আমি মুক্তিযোদ্ধা সহ সকল বীর জনতাকে শ্রদ্ধা এবং অভিনন্দন জানাচ্ছি। যুদ্ধে আত্মাহুতি প্রদানকৃত সকল শহীদ এবং সম্ভ্রম হারানো মা বোনদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করছি। আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করছি জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সহ সহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে যারা বীরত্বের সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমি গভীর শ্রদ্ধা এবং সন্মান জানাচ্ছি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়া সহ সকল সেক্টর কমান্ডার বীরউত্তমগনের প্রতি।
এখানে জেনাঃ জিয়ার নামটি বিশেষ করে উল্লেখ করার কারন হচ্ছে, আমার জানামতে তিনিই প্রথম সেনা কর্মকর্তা যিনি আজকের দিবসের প্রথম প্রহরে চট্রগ্রামের ষোল শহরের সেনা ক্যাম্পে ড্রামের উপর দাঁড়িয়ে স্বপক্ষ ত্যাগ করে বিদ্রোহ ঘোষনা করেছিলেন এবং দেশের সকল পুলিশ, বিডিআর, সেনা সদস্য সহ আপামর জনসাধারনকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানিয়েছিলেন। আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। কারন দেশের করোনা সংক্রমনের ভয়াবহতার কারনে জনগনের উদ্বেগ, উৎকন্ঠা আর আতংকের মধ্যে দেশের স্বাধীনতা ও অন্যান্য গনতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসের বরেন্য বাক্তিত্ব, দেশের একটি বৃহত্তর অংশ জনগনের আস্থাভাজন অন্য শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দিয়ে দেশের উদ্বেগ, উৎকন্ঠিত জনগনের কিছুটা হলেও আনন্দ উচ্ছাসের জোগান দিয়েছেন। উদারতা এবং মানবিকতা বিবেচনায় নির্ব্বাহী আদেশে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আস্থা অনাস্থার কারনে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে, তা নেহায়েত রাজনৈতিক বিতর্ক বিধায় তা নিয়ে মন্তব্য করা আমার এক্তিয়ার বহির্ভুত। আবার দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে নির্ব্বাহী আদেশে মুক্তির বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইনগত এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে তারও সমাধান হবে বিচারাধীন আদালত অর্থাৎ মহামান্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে ৷
সব বিতর্কের উর্দ্ধে সত্য হচ্ছে, নির্ব্বাহী আদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুক্তি দিয়েছেন এবং মুক্তিপ্রাপ্ত হয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন নিজ বাসায় পৌঁছে গেছেন। তবে বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের ইতিহাসের বরেন্য ব্যাক্তি বলায় একটা বিতর্ক কিংবা কারও মনে প্রশ্নের উদ্রেক হতে পারে। এর ব্যাখ্যা দিতে আমি বাধ্যও বটে। তবে এই পরিসরে তা হয়ত যুক্তিযুক্ত হবে না, পরে সুযোগ পেলে বা আলাদা করে লেখার চেষ্টা করব। বেগম খালেদা জিয়াকেও জানাচ্ছি শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। সবশেষে বলতে চাই আমাদের এই দেশ করোনা ভাইরাস কোভিড -১৯ সংক্রমিত হয়েছে এবং আমাদের উদাসিনতা, অসাবধানতা এবং অবহেলা তা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং আমাদের কোন ভাবেই আতংকিত নয় বরং সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে সরকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক নির্দেশিত স্বাস্থ্য বিধি পরিপুর্ন ভাবে মেনে চলতে হবে। ঘরে থাকু, খুব বেশী প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে যাবেন না। নিজে, পরিবার এবং বাসস্থান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন, বাহিরে থেকে আসলেই সাবান দিয়ে হাত ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। নিজে, পরিবার এবং সমাজের প্রতি নুন্যতম দায়িত্ব পালন করুন। মনে রাখবেন আমাদের মাতৃভুমি বার আওলিয়ার দেশ বিধায় মহান আল্লাহ তাঁর অলী বন্ধুগনের ইজ্জতের খাতিরে কিংবা তাঁদের অসিলায় আমাদের গোনাহ সমুহ মাফ করবেন এবং সবাইকে হেফাজত করবেন। আমিন।