জীবন্ত লাশের খুনি
রিটন মোস্তাফা
আমরা যতই বিপরীত লিঙ্গের সাথে আবেগীয় সম্পর্কের গভীরে যেতে থাকি, ঠিক ততটাই ছোট ছোট স্বপ্ন একত্রিত হতে হতে অনেক বড় হয়ে, বুকের সমস্ত অঞ্চলটা স্বপ্ন গুলো দখলে নিতে থাকে।
কখনো কখনো সেই সম্পর্ক কোন অনাকাঙিক্ষত কারণে ভেঙে যেতেই পারে, যদিও কখনোই সেটা সহ্য করার মতো থাকে না বা ঠিক না। কিন্তু সেই সম্পর্ক ভেঙে গিয়ে যে তিক্ততার সৃষ্টি হয়, প্রতিশোধের মানসিকতার জন্ম নিতে পারে এবং সেটাকে আমরা যখন প্রশ্রয় দিয়ে অপর পক্ষকে মিথ্যে অপবাদে ধ্বিকৃত করার জন্য উঠেপড়ে চেষ্টা করি, ঠিক তখন সেটা “অন্য পক্ষের” কাছে মেনে নিতে না পরার কারণে, মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীনতার কারণ হতে পারে।
সম্পর্ক ভেঙে গেলে যাক। তবে সেটার তিক্ততাকে প্রশ্রয় দিয়ে এই ঘৃণ্য পথ অবলম্বন করে অন্যের মাথায় মিথ্যে অপবাদের ভারি বোঝা তুলে দেওয়াটা কি ঠিক? যেটার কারণে সে সহ্য করতে না পেরে মানসিক ভাবে একটা জীবন্ত লাশে পরিনিত হতে পারে? অপবাদের চাপ সহ্য করতে না পেরে ভিতরে ভিতরে মরে যেতে কেউ বাধ্য হয়?
এক্ষেত্রে যে এমনটা করছে সে আমার কাছে একজন খুনি বা হত্যাকারী।
যে সম্পর্ক ভেঙে গেছে, সেটা সেখানেই ইতি টানা উচিত এবং অতীতকে মনে রাখা উচিত। সম্পর্ক যখন হয়ে গিয়েছিল তখন অবশ্যই ভালোলাগাও অনেক ছিলো। অনেক মধুর স্মৃতিও আছে। সেগুলে কে স্মরণ করে পরবর্তী ভুল গুলোকে ক্ষমা করা উচিত, তিক্ততা সহ সব কিছু ভুলে নিজের দিকে চিন্তাভাবনা কেন্দ্রীভূত করা উচিত। যেহেতু এটা একটা জীবন এবং সেটা টিকিয়ে রাখতে আমরা সবাই প্রচণ্ড ভাবে স্বার্থপর। তাই ব্যক্তিগত জীবনের চিন্তা করা উচিত। তিক্ততা পুষে রাখলে জীবনযাপন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। অপরাধের মানসিকতা শক্তি পেতে পারে। ক্ষতি হতে পারে। সুতরাং ভুলে যাবার চেষ্টা করতে হবে। খারাপ অবশ্যই লাগবে,তবে খারাপ লাগা গুলো জয় করার মধ্যেই স্বাভাবিক জীবন খুঁজে পাওয়া সম্ভব। সম্পর্ক শেষ হবার সাথে সাথে সব কিছুকেই শেষ করতে হবে। আগামী দিন গুলোতে ভালো থাকার জন্য কাজ করতে হবে। হয়তো এই ভালো থাকার প্রচেষ্টাই আপনাকে আপনার ভেঙে যাও স্বপ্নকে আবার জোড়া লাগাতে পারে। এটা অসম্ভব না।
তবে কাউকে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার তিক্ততার কারণে, মিথ্যে অপবাদ দিয়ে অন্যদের সামনে ধ্বিকৃত করে মানসিক ভাবে চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে মেরে ফেলাটা অন্যয়। আর এরকমটা যদি কেউ নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিয়ে করে, তবে আমি আবার বলছি ” সে আমার কাছে স্রেফ একজন খুনি “